সংবাদ প্রাতদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের নয়া মানচিত্র নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে চরম বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। দলের অন্দরেই সরকার বিরোধিতার সুর শোনা যাচ্ছে। এমনকি দলের নেতাদের অনেকেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবি করছেন। এর মধ্যে পুষ্পকমল দাহালের নাম সবার আগে। তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ওলি প্রতিটি ইস্যুতেই ব্যর্থ, এরজন্য তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। উল্লেখ্য, পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি। যদিও ওলি নিজে দলের মধ্যে বিবাদ ও তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ওলি ইস্তফা না দিলে দল ভাগ করার পর্যন্ত হুমকি দিয়েছেন পুষ্পকমল দাহাল। তাঁর মতে, ওলিকে সমর্থন দেওয়া উচিত হয়নি। এই সমর্থন তাঁর রাজনৈতি জীবনে সবথেকে বড় ভুল। দুই মেয়াদে নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা পুষ্পকমল দাহালকে দলের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও সমর্থন করছেন। সংঘাত এতটাই চরমে যে ওলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক মন্ডলি আর স্থায়ী কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। আর তিনি এবার পদ বাঁচাতে বড়সড় রদবদলের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, নেপালের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের সাংসদরা প্রতিনিধি সভায় একটি প্রস্তাব পেশ করে সরকারের কাছ থেকে চিনের হাতে কবজা হওয়া নেপালের ভূখণ্ড ফেরত নেওয়া আর বেদখল হয়ে যাওয়া এলাকাগুলির বর্তমান পরিস্থিতি কী, সেটা সংসদে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। দলের সাংসদ দেবেন্দ্র রাজ, সত্যনারায়ণ শর্মা আর সঞ্জয় কুমার গৌতম বুধবার প্রতিনিধি সভার সচিবালয়ে যৌথভাবে এই প্রস্তাব পেশ করেন।
উল্লেখ্য, চিনের (China) সঙ্গে ভারতের যেমন সীমান্ত নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে। কিছুদিন ধরে নেপাল ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। মানচিত্রে বদল এনে তাঁরা ভারতের তিনটি এলাকা নিজেদের বলে দাবি করছে। চলতি মাসেই এই নয়া মানচিত্র সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ করিয়েছে ওলি সরকার। তাতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। কিন্তু অন্যদিকে চিন একের পর এক নেপালের গ্রাম অধিগ্রহণ করছে, সেই নিয়ে চুপ রয়েছে নেপাল সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.