Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

করোনার বাড়বাড়ন্ত চিনে, বাজারে ছেয়েছে নকল ভারতীয় জেনেরিক ওষুধে, সতর্কবার্তা প্রশাসনের

চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভারতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে।

Demand For Indian Generic Drugs In China Amid Massive COVID 19 Surge | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 9, 2023 2:30 pm
  • Updated:January 9, 2023 2:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমজনতার বিক্ষোভে ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে এসেছে চিন (China)। যদিও নতুন করে করোনায় (Covid 19) বিপর্যস্ত দেশটি। এই অবস্থায় সেখানে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে চিনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা সতর্ক করে জানিয়েছে, চাহিদার সুযোগ নিয়ে নকল ভারতীয় ওষুধে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। এই অবস্থায় সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের।

জনতার চাপে গত ৭ ডিসেম্বরে জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করে চিন সরকার। এইসঙ্গে গোটা দেশে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসের নিয়মও তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও অন্যদিকে হুড়মুড় করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। সরকারি ক্লিনিকগুলিতে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড সরবরাহ হচ্ছে কম, এছাড়াও এই ওষুধের উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে প্রশাসনের। এই অবস্থায় ভারতের জেনেরিক ওষুধ প্রিমোভির, প্যাক্সিস্তা, মোলনুনেট এবং মোলনাট্রিসের চাহিদা বাড়ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত ৩০ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি হবে, দাবি গৌতম আদানির]

জানা গিয়েছে, এর মধ্যে প্রিমোভির, প্যাক্সিস্তা প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক সংস্করণ। বাকি দু’টি মলনিপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণ। এই ওষুধগুলি ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন থাকলেও, চিনের ক্ষেত্রে এখনও অনুমোদন নেই। এই বিষয়ে বেজিং মেমোরিয়াল ফার্মাসিটিক্যাল জানিয়েছে, ভারত থেকে নির্ভরযোগ্য তথা সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ আনা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ নিয়ে কালো বাজারি শুরু হয়েছে ওষুধের। ওই ওষুধ খাওয়ায় খারাপ প্রভাব পড়ছে রোগীর উপরে।

[আরও পড়ুন: দিল্লি হাই কোর্টে পিছল ইডি’র মামলার শুনানি, স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল]

প্রসঙ্গত, বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধও শিথিলের পর চিন প্রশাসনের অনুমান, আগামী ৪০ দিনে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ চিনে যাতায়াত করবেন। উল্লেখ্য, চিনা নববর্ষ (Lunar New Year) উদযাপন করতে প্রতি বছরই প্রচুর সংখ্যক মানুষ সেদেশে উপস্থিত হন। চিনের ‘গ্রেট মাইগ্রেশন’ নামে অভিহিত করা হয় এই বিষয়টিকে। অতিমারী পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ আরও বেশি থাকবে বলেই অনুমান। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই ৪০ দিন ব্যাপী চিনা নববর্ষের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement