সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জালিয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যা ব্রিটিশদের ভারতীয় ইতিহাসে একটি লজ্জাজনক ক্ষতচিহ্ন হয়ে থাকবে। বক্তা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। এমনকী হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটেনের হাউস অফ কমন্সে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এব্যাপারে প্রস্তাব রাখেন টেরেসা মে-র কাছে। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর উচিত পূর্বসূরিদের তরফে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ক্ষমা চাওয়া।’ যার জবাবে মে বলেন, “আগেই ব্রিটেন সরকারের তরফে এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।”
বুধবার জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার শতবর্ষপূর্তি পালনের প্রেক্ষিতেই ওই মন্তব্য করেন মে। এর আগে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। হাউস অব কমন্সে সদস্যদের সামনে টেরেসা বলেন, ‘‘ ১৯১৯ সালের কুখ্যাত হত্যাকাণ্ড ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসে কলঙ্কের দাগ। ১৯৯৭ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ সফরের আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও বলেছিলেন, ওই ঘটনা ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসে বেদনার উদাহরণ ওই হত্যাকাণ্ড এবং তার ফলের জন্য আমরা গভীর ভাবে দুঃখিত।” এহেন ঘটনা এবং ভারতীয়দের উপর ব্রিটিশদের ২০০ বছরের শোষণের পরও যেভাবে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে তাঁর প্রশংসাও করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি সহযোগিতা, সমৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্বের উপর ভর করে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।”
১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের একটি প্রতিবাদ সভায় নির্বিচারে গুলি চালান জেনারেল ডায়ার। ব্রিটিশ সরকারের হিসেব অনুযায়ীই সেই ঘটনায় প্রাণ হিয়েছিল সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১২০০ জন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে নাইটহুড ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। একশো বছর পরেও সেই ঘটনার রেশ ভুলতে পারেনি ভারতবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.