Advertisement
Advertisement

Breaking News

থামছে না অশান্তি, কাশ্মীর ও অসম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের

ষষ্ঠ সপ্তাহ ধরে চলছে কাশ্মীরের অবরুদ্ধ পরিস্থিতি।

'Deeply concerned', says UN rights chief on Kashmir, Assam

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 10, 2019 9:22 am
  • Updated:September 10, 2019 9:22 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর ৩৫ দিন কেটে গিয়েছে। ষষ্ঠ সপ্তাহ ধরে চলছে কাশ্মীরের অবরুদ্ধ পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি সেখানে। এই অবস্থায় সোমবার কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেট এক বিবৃতিতে কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে অসম নিয়েও চিন্তার সুর শোনা গিয়েছে তাঁর বিবৃতিতে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি নিয়ে বহু মানুষ অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। সেটাও দ্রুত সমাধান করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘সম্মুখ সমরে’ মোদি-ইমরান, এ মাসের শেষেই একমঞ্চে ভাষণ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের]

Advertisement

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে পাশে পেয়েছে ভারত। কিন্তু একমাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মিশেল বাচেলেট বলেন, ‘ইন্টারনেট পরিষেবা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিধিনিষেধ আরোপ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আটকে রাখা-সহ কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার মিশেল বাচেলেট কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে একথা বলেন। তিনি জানান, মানবাধিকার রক্ষায় উদ্যোগী হতে ভারত ও পাকিস্তান, উভয় দেশের সরকারের কাছেই তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন। তবে বিশেষভাবে ভারতের কাছে তাঁর আরজি, কাশ্মীরে জারি হওয়া বিধিনিষেধ এবং কারফিউ যাতে দ্রুত তুলে নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবার সুবিধা পান। যে সমস্ত নেতা আটক রয়েছেন, তাঁদের মানবাধিকারের প্রতিও যাতে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই অনুরোধ করছেন বাচেলেট। তাঁর মত, এইসব ব্যাপারে কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই সিদ্ধান্তের জেরে তাঁদের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব পড়বে।

কাশ্মীরের পাশাপাশি অসমের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাচেলেট। তিনি জানান, অবৈধ অভিবাসী চিহ্নিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি তৈরির জেরে যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়েও চিন্তিত তিনি। ৩১ আগস্ট প্রকাশিত ওই চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ। ভারত সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, এ নিয়ে আপিল প্রক্রিয়া চলাকালীন যেন কাউকে নির্বাসন বা আটকে রাখা না হয়। মানুষ যাতে রাষ্ট্রহীন না হয়ে পড়ে। অসমের এনআরসি প্রসঙ্গে গত সপ্তাহেই বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক জানায় যে, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসি তৈরির প্রক্রিয়া বিধিবদ্ধ, স্বচ্ছ এবং আইনসঙ্গত। যাঁরা চূড়ান্ত তালিকায় নেই তাঁদের এখনই আটক করা হবে না।

[আরও পড়ুন: পাক নাটকে যবনিকা পতন, গোপনে জঙ্গি মাসুদ আজহারকে কারামুক্ত করল ইসলামাবাদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement