সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: ঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ফিলিপিন্স (Philippines)। গতকালই জানা গিয়েছিল শক্তিশালী টাইফুনের ধাক্কায় মৃত অন্তত ৭৫। আজ মৃতের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হল ২০৮। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবারই উদ্ধার কাজে নামা পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছিলেন, ভয়ংকর টাইফুনের জেরে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ।
বৃহস্পতিবার রাতে টাইফুন রাই (Typhoon Rai) আছড়ে পড়ে ফিলিপিন্সে। তার আগেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে পালিয়ে যান বহু মানুষ। ঘর-বাড়ি, রিসর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, টাইফুন রাই থেকে বাঁচতে ঘরছাড়া কমপক্ষে ৩ লক্ষ মানুষ। রবিবার সকাল পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আজ জানা গেল, এখনও পর্যন্ত ২০৮ টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকার্য।
ফিলিপিন্স পুলিশের সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ও মধ্য আর্চিপেলাগোতে আহত হয়েছেন ২৩৯ জন, ৫২ জন নিখোঁজ।ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিয়ারগাও, দিনাগাত ও মিনদানাও দ্বীপ। জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বোহলও বিপর্যস্ত। অসংখ্য মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও রেড ক্রসের তরফে জানানো হয়েছে, বহু বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টার ঝড়ের দাপটে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এলাকা। ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে উদ্ধার কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবুও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপকূলরক্ষী বাহিনী জোরদকদমে উদ্ধারকার্য চালানোর চেষ্টা করছে।
ফিলিপিন্স প্রশাসনের বক্তব্য, ২০১৩ সালে সুপার টাইফুন হাইয়ানের জেরে যেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, এবারও টাইফুন রাই-এ একই প্রকারের ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, টাইফুন হাইয়ানে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বছর শেষে একের পর এক টর্নেডো হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) কেনটাকি। নিরাপত্তার স্বার্থে কেনটাকিতে জরুরি অবস্থা (State of Emergency) জারি হয়েছিল। কেনটাকিতেই অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘর হারিয়েছেন আরও বহু মানুষ। একের পর এক বাড়িঘর ভেঙে পড়ায় পুরো রাজ্যটাই যেন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। শুধু কেনটাকিতেই নয়, গোটা দেশেই কমবেশি দাপট দেখিয়েছে টর্নেডো। বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব আমেরিকার ছ’টি রাজ্যে এর প্রভাব মারাত্মক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.