সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল গ্রিস ও তুরস্ক। শুক্রবার ভোররাতে কম্পনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই দেশেই। সরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা ২, আহত ২০০ জনেরও বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল গ্রিসের কস দ্বীপ। সেখানেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। ফাটল দেখা দিয়েছে বড় বাড়িতে, কোথাও আবার বাড়ির একাংশ ধসে পড়েছে কম্পনে।
JUST IN: A 6.7 magnitude earthquake hit near the southwestern coast of Turkey. A small tsunami reported.
— NBC News (@NBCNews) July 20, 2017
M6.7 #earthquake offshore #Bodrum #Kos: don’t go on beaches, don’t go in damaged buildings, follow instructions by national authorities RT
— EMSC (@LastQuake) July 20, 2017
গ্রিসের সরকারি দপ্তরের খবর মোতাবেক, এদিনের কম্পনের মাত্র রিখটার স্কেলে ৬.৫। তুরস্কের বদরুম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কম্পনের উৎসস্থল। যার খুব কাছেই আবার কস দ্বীপ। ভূমির প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল। তুরস্কেও ব্যাপক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। অন্তত ২০ বার আফটার শকে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৩। বদরুম থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে বিতেজ শহরের বাসিন্দারা ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন।
Powerful M6.7 #earthquake near Bodrum, #Turkey just now. Very shallow, not good at all. Via QuakeFeed pic.twitter.com/m0eT4GybFs
— James Reynolds (@EarthUncutTV) July 20, 2017
#kos island #Greece outside some bars after strong #Earthquake 6,7R in #Bodrum. 2 people are dead… pic.twitter.com/E31BtHUVwH
— Cloud_9 (@Mariellena) July 21, 2017
সংবাদ সংস্থা এপিকে কসের মেয়র বলেছেন, “মূল শহরেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য দ্বীপে তেমন বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। যে বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছে সেগুলি বেশ পুরনো ইমারত ছিল। সেগুলিতে ভূমিকম্প নিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি।” ভেঙে পড়া বাড়ির কাঠামোর ভিতর থেকে আটকে পড়া আক্রান্তদের উদ্ধারে নেমেছে সরকারি বাহিনী। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে কসে। কসের সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Pictures of damage from Bodrum
#Earthquake@SierraMaestraaa pic.twitter.com/R1MGtSf1oB— Global News (@GlobalZarfati) July 20, 2017
কসের ফেরি চলাচল পরিষেবা আপাতত স্তব্ধ রয়েছে। তবে বন্দর অংশের তেমন কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কস বন্দরের কাছে চতুর্দশ শতাব্দীতে নির্মিত একটি দুর্গের বেশ ক্ষতি হয়েছে ভূমিকম্পের ফলে। এমনিতেই গ্রিস, তুরস্ক বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ভূমিকম্পের পর আক্রান্ত বাসিন্দারা ভয়ে বাড়ির বাইরেই বাকি রাতটুকু কাটিয়ে দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.