Advertisement
Advertisement

গ্রেপ্তার দাউদ ঘনিষ্ঠ জাবির মোতি, বড় সাফল্য লন্ডন পুলিশের

ডন ও তাঁর পরিবারের সমস্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব রাখত সে৷

Dawood Ibrahim's finance manager and custodian of his dark secrets, Jabir Moti detained from London
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 19, 2018 11:28 am
  • Updated:August 19, 2018 11:34 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তার দাউদ ঘনিষ্ঠ জাবির মোতি৷ লন্ডনের হিলটন হোটেল থেকে শনিবার জাবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী তথা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ব্যাবসায়িক লেনদেনের হিসাব রাখত ধৃত৷ তার হাতেই রয়েছে ডি কোম্পানির আন্ডারওয়ার্ল্ড ব্যবসা-সহ নির্মাণ ব্যবসার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি৷

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের নাগরিক জাবির মোতি দশ বছর ধরে রয়েছে লন্ডনে৷ দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিল লন্ডন পুলিশ৷ অবশেষে সাফল্য মিলল৷ তাকে জেরা করে দাউদ ও পরিবারের সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ দাউদ পত্নী মাহাজবিন, পুত্র মোয়িন নাওয়াজ, দুই মেয়ে মেহরুখ, মেহরিন ও জামাই জুনেইদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য এবং বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের সমস্ত তথ্য মজুদ রয়েছে ধৃতের কাছে৷ এখন এগুলোই হস্তগত করা একমাত্র লক্ষ্য তদন্তকারীদের৷

Advertisement

[সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য, নিকেশ আল-কায়দার শীর্ষ নেতা]

সূত্রের খবর, পাকিস্তান, মধ্য-প্রাচ্য, ব্রিটেন, ইউরোপ, আফ্রিকার ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রহিম৷ প্রতি মাসে এই সমস্ত দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন চলত ডি কোম্পানির৷ যার সমস্ত হিসাব রাখত এবং তদারকি করত ধৃত জাবির মোতি৷ এই টাকাই খরচ হত আন্ডারওয়ার্ল্ডের কাজকর্মে ও ভারতের বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দিতে৷ লন্ডন পুলিশ সূত্রে খবর, জাবিরের নামে ব্রিটেনে একাধিক স্থানে সম্পত্তি ক্রয় করে রেখেছে দাউদ এবং ধৃতের সাহায্যে লন্ডনে যাতায়াত করতে পারত দাউদের পরিবার৷

[ধ্বংস হবে উড়ন্ত শত্রু, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বারাক-৮ বসাচ্ছে ইজরায়েল]

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ছবি বসানো ই-মেল পান বহুজন সমাজ পার্টির এক বিধায়ক উমাশংকর সিং। ওই ই-মেল মারফত তাঁর কাছ থেকে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। হুমকি দিয়ে বলা হয়, টাকা দেওয়া না হলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে৷ কেবল ই-মেল নয়, পাশাপাশি ফোনেও একটি মেসেজ পান তিনি। যদিও, দাউদ ঘনিষ্ঠের ধরা পড়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক নজরে দেখছে নয়াদিল্লি৷ ধৃতকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দাউদের কাছে পৌঁছান যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement