সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে সরব হয়েছে ভারত৷ কিন্তু এরপরেও দমতে নারাজ দাউদ ইব্রাহিম৷ সূত্রের খবর, এখন নাকি পাকিস্তানের শেয়ার বাজারে টাকা খাটাতে শুরু করেছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত এই ডন। মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার ও জাল নোট কারবারের মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণ টাকা ঢুকছে ডি-কোম্পানির ভাণ্ডারে, সেই অর্থ নাকি এখন পাকিস্তানের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করছে দাউদ৷ এবং এভাবেই নাকি কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা করেছে সে৷
[ আরও পড়ুন: বোমায় বিধ্বস্ত বাড়ি, টি-শার্ট খামচে ৭ মাসের বোনকে বাঁচানোর লড়াই খুদের ]
সম্প্রতি লন্ডনে গ্রেপ্তার হয়েছে দাউদ ঘনিষ্ঠ জাবির মোতি৷ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে সে। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করেই ডন সম্পর্কিত এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পান তদন্তকারীরা৷ তাঁরা জানতে পারেন, পাঁচটি সংস্থার মাধ্যমে প্রথমে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে টাকা খাটাত দাউদ ইব্রাহিম ও জাবির মোতি৷ এরপর করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সঙ্গে মিশে গেলে, সেখানেও টাকা খাটাতে শুরু করে ডি-কোম্পানি৷ এছাড়া হাবিব মেট্রোপলিটন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের মতো একাধিক সংস্থাতেও বিনিয়োগ করে এরা৷ যে ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার পদে কাজ করতেন দাউদের মেয়ে মেহেরিন ইব্রাহিমের শ্বশুর তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদ৷ তিনিই নাকি ব্যাংকের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দাউদের পরিচয় করিয়ে দেন৷ এবং তারপর থেকে এখানে টাকা খাটাতে শুরু করে ভারতে মোস্ট ওয়ান্টেড এই ক্রিমিনাল৷ ২০১৭-তে এই হাবিব ব্যাংকের বিরুদ্ধেই জঙ্গি মদতে অর্থ সাহায্য করার অভিযোগ এনেছিল মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা।
[ আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যায় মৃত ৬০০, ঘরছাড়া আড়াই কোটি মানুষ ]
প্রসঙ্গত, মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার পর সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘে দাউদ ইস্যুতে সোচ্চার হয় ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, “আমাদের এলাকায় (ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায়) সবচেয়ে বড় বিপদ হল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানি। ডাউদের কোম্পানি, লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। মানুষ পাচার, মাদক পাচারের মাধ্যমে এরা বিপুল অর্থ সংগ্রহ করছে। একটা আন্ডারওয়ার্ল্ড অপরাধীদের সিন্ডিকেট থেকে সন্ত্রাসবাদীদের বিশাল নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে ডি-কোম্পানি।’’ এখানেই শেষ নয়, দাউদ ইব্রাহিমকেও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার দাবি করেন তিনি৷ অনুরোধ করেন রাষ্ট্রসংঘের ১২৬৭ নম্বর কমিটির সুপারিশ মেনে ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে। ভারতের দাবি যে খুব একটা ভুল নয়, তা আবারও প্রমাণ করল দাউদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত এই নয়া তথ্য৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.