সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যি প্রমাণিত হল ভারতের অভিযোগ। কয়েক দশকের টানাপোড়েনের পর কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম যে পাকিস্তানেই লুকিয়ে রয়েছে শনিবার সেই কথা স্বীকার করল ইসলামাবাদ।
এদিন, আন্তর্জাতিক মঞ্চের চাপের মুখে বাধ্য হয়ে ৮৮টি সংগঠন ও তাদের নেতাদের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইমরান খানের প্রশাসন। ওই তালিকায় রয়েছে ‘ডি-কোম্পানি’র প্রধান কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম। পাকিস্তানের প্রকাশিত তালিকায় দাউদের বাড়ির ঠিকানা করাচি শহরে দেখানো হয়েছে। ফলে এতদিন দাউদ যে তাদের দেশেই লুকিয়ে ছিল সেই কথা মেনে নিল ইসলামাবাদ। ইমরান প্রশাসনের দাবি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা যথেষ্ট পদক্ষেপ করেছে। নয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে আপাতত তালিকায় থাকায় সংগঠন বা ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে। ফলে সেগুলি থেকে কোনও আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না তারা।
এদিকে, দাউদ ছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকা মেনে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদ, জাকিউর রহমান লাখভি, মাসুদ আজহার-সহ ৮৮টি সংগঠন ও জঙ্গির উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাল ইসলামাবাদ। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালায় ১০ পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী। তাদের মদত দেয় লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সইদ, লস্করের আরও এক মুখ জাকিউর রহমান লাখভি ও জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে আসছে ভারত। গোড়ার দিকে কয়েকটা পদক্ষেপ করলেও, তা যে আদতে ধোকা তা বুঝতে দেরি হয়নি নয়াদিল্লি ও আন্তর্জাতিক মঞ্চের। তারপর থেকেই চাপ বাড়তে থাকে ইসলামাবাদের উপর। বিশ্বে কার্যত একঘরে হয়ে পড়ে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম হোতা দাউদ ইন্ডিয়ার নম্বর ওয়ান ওয়ান্টেড অপরাধী। বহুদিন ধরেই তাকে পাকড়াও করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। কিন্তু সেই চেষ্টা এখনও সফল হয়নি। পাকিস্তানে বসে দিব্বি ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে দাউদ। হলিউড থেকে শুরু করে ভারতীয় রাজনীতির অন্ধকার গলিতে তার অবাধ যাতায়াত, সে কথা গোপন কিছু নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.