সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার ভাইরাস। গোটা বিশ্বের ত্রাস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তাবড় বিজ্ঞানীরা লেগে পড়েছেন এর ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরিতে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা বলছেন, এসব চেষ্টাতে কোনও লাভ হবে না। অদূর ভবিষ্যতে করোনার কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক তৈরি হওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডেভিড নাবারো (David Nabarro) একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, “এটা ধরে নেওয়া ঠিক না যে, খুব শীঘ্রই করোনা ভাইরাসের কোনও কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবনযাপন শিখতে হবে। “
WHO-এর শীর্ষকর্তা বলছেন, “সব ভাইরাসেরই যে নিরাপদ এবং কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক তৈরি হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। এমন অনেক ভাইরাস আছে যাদের প্রতিষেধক তৈরি করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। সুতরাং আপাতত আমাদের এই ভাইরাসের বিপদের কথা মাথায় রেখেই জীবনযাত্রা বদলে ফেলতে হবে।” নাবারোর কথায়,”আমাদের এখন সাবধানতা অবলম্বন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। অর্থাৎ কারও মধ্যে এই রোগের উপসর্গ দেখলে তাঁকে এবং যারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের আইসোলেট করতে হবে। বয়স্ক মানুষদের আগলে রাখতে হবে। আর এটাকেই স্বাভাবিক নিয়ম করে ফেলতে হবে।”
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই WHO সরকারিভাবে জানিয়েছিল করোনার টিকা তৈরি হতে আরও অন্তত ১২ মাস সময় লাগবে। এখনও মারক ভাইরাসের ওষুধ তৈরিতে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ৪২টি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। এদের মধ্যে অন্তত ২টি ওষুধের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে এবং এই দু’টি ওষুধ আশা জাগাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি ঘটিয়েছে হংকংয়ের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। বেজিংয়ের একটি সংস্থাও ওষুধ তৈরির কাজে অনেকটা এগিয়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এগুলিও বাজারে আসতে এখনও অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.