Advertisement
Advertisement
Iran

হিজাব বিদ্রোহে শামিল হয়ে মিলেছিল শাস্তি! কারাদণ্ডের পর মুক্ত ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মেয়ে

বছর দুয়েক আগে হিজাববিরোধী আন্দোলনে গর্জে উঠেছিল ইরান।

Daughter Of Ex Iran President Has Released After 2 Years In Jail
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:September 19, 2024 11:24 am
  • Updated:September 19, 2024 11:46 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিকমতো হিজাব না পরার অপরাধে নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছিল কুর্দ তরুণী মাহসা আমিনির। বছর দুয়েক আগের সেই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল ইরান। শুরু হয়েছিল হিজাব বিদ্রোহ। যা নাড়িয়ে দিয়েছিল সেদেশের ‘মোল্লাতন্ত্র’কে। আর আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আকবর হাসেমি রাফসানজানির মেয়ে ফায়েজি হাসেমি। প্রতিবাদে উস্কানি দেওয়া ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ২০২২ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অবশেষে জেলমুক্তি ঘটেছে হাসেমির। এমনটাই খবর ইরানের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে।

২০২২-এর ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় ২২ বছরের মাহসা আমিনির। তার পর থেকেই হিজাবের শিকল ভেঙে ফেলতে বেনজির গণউত্থানের সাক্ষী থেকেছে ইসলামিক দেশটি। তীব্রতা কিছুটা কমলেও ইরানের নানা প্রান্তে এখনও অব্যাহত হিজাব বিরোধী আন্দোলন। কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই তেহরানের। হিজাব পরা নিয়ে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ২০২২ সালে হিজাববিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন
ফায়েজি হাসেমি। যার জন্য তাঁকে রোষের মুখে পড়তে হয়। অভিযোগ আনা হয়, তিনি নাকি প্রতিবাদীদের উস্কানি দিচ্ছেন। এর পর তাঁর ঘাড়ে নেমে আসে কারাদণ্ডের খাঁড়া। ওই বছরই হাসেমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা গড়ায় আদালতে। দুবছরের কারাবাস কাটিয়ে বুধবার তেহরানের ইভিন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন হাসেমি। তাঁর আইনজীবী মহম্মদ হোসেন আগাসি সংবাদমাধ্যমে জানান যে, আপিল আদালতের রায়ের পর হামেসিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হামেসি বরাবরই নারীদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। তিনি সমাজকর্মী হিসাবেই পরিচিত। ছিলেন সাংসদও। এর আগেও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে গলা তুলে ইরান সরকারের রক্তচক্ষুর নজরে পড়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় হাসেমির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০১২ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁর সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদেও রেহাই পাননি তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন হামেসির বাবা রাফসানজানি। ইরানে অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। বাস্তববাদী চিন্তাধারার জন্য বিরোধীরাও তাঁর প্রশংসা করতেন। রাফসানজানির জমানায় পশ্চিমি বিশ্বের সঙ্গেও তেহরানের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। ২০১৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement