সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে জনসমক্ষে দেখা যায়নি চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে (Qin Gang)। এবার বিদেশমন্ত্রকের যাবতীয় নথিপত্র থেকে কার্যত উধাও হয়ে গেলেন তিনি। চিনা বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হিসাবে অন্যদের নাম থাকলেও সেই তালিকায় নেই গ্যাংয়ের নাম। ওয়েবসাইটে তাঁর নাম দিয়ে সার্চ করলে সাফ জবাব আসছে, “এই নামের কোনও হদিশ নেই”। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে শি জিনপিং প্রশাসনের হাত রয়েছে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তারপরেই ওয়েবসাইট থেকে গ্যাংয়ের তথ্য মুছে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে চিনা (China) সরকার।
গত ২৫ জুলাই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে (Wang Yi) ফের মন্ত্রকের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই সময়ে চিনা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিন গ্যাং। যদিও পরে সরকারি নথিপত্র-সহ সমস্ত জায়গা থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয় এই কথা। তারপর থেকেই চিনা প্রশাসন থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কিন গ্যাংয়ের অস্তিত্ব। বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গেলে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীদের তালিকায় তাঁর নাম বা ছবি কোনওটাই পাওয়া যাচ্ছে না। আলাদা করে তাঁর নাম নিয়ে সার্চ দিলেও কোনও তথ্য মিলছে না চিনা ওয়েবসাইটে।
প্রসঙ্গত, ২৫ জুন বেজিংয়ে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিন গ্যাং। তারপর থেকেই তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। সংবাদমাধ্যমে তাঁর শেষ উপস্থিতি ছিল রুশ বিদেশমন্ত্রকের ডেপুটি মিনিস্টার আন্দ্রে রুডেনকোর সঙ্গে। যিনি রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনা ওয়াগনারের স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহের পরে চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে বেজিংয়ে এসেছিলেন। তারপর থেকেই আর গ্যাংয়ের দেখা পাননি সাধারণ মানুষ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে নিয়ে অযথা অপপ্রচার চলছে। ঠিক সময় মতো এই বিষয়ে মুখ খুলবে প্রশাসন। তবে সবমিলিয়ে গ্যাং সংক্রান্ত ২৫টি প্রশ্ন করা হলেও জবাব দেননি মুখপাত্র। প্রসঙ্গত, জিনপিংয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কিং মাসছয়েক আগে বিদেশমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। দেশের কনিষ্ঠতম বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে একজন তিনি। কিন্তু পাঁচ বছরের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও মাত্র ছয়মাসের মাথায় তাঁকে সরে যেতে হল। নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে চিন প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.