Advertisement
Advertisement

ভাঙল বাঁধ, নিমেষেই ধ্বংসস্তূপ ব্রাজিলের আকরিক খনি

বাঁধের জলে বন্যা।

Dam collapses, flood in Brazil
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 26, 2019 5:39 pm
  • Updated:January 26, 2019 5:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  বাঁধ ভেঙে বানভাসি ব্রাজিলের ব্রুমাদিনহো। শুক্রবার সেখানকার খনি এলাকায় আচমকাই হু হু করে বড়সড় বাঁধ ভেঙে মৃত্যু হল অন্তত ৭ জনের। নিখোঁজ কমপক্ষে ২০০। নদীর জলে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি, গাড়ি। আটকে পড়েছেন অনেকে।

brazil-flood1

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ পশ্চিম ব্রাজিলের ব্রুমদিনহোয় এক লৌহ আকরিকের খনির পাশে মারিয়ানো নদীর বাঁধটি শুক্রবার থেকে ভঙ্গুর হচ্ছিল। জল ঢুকছিল একটু একটু করে। শনিবার চোখের সামনে পুরো বাঁধটাই একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেসময় আশেপাশে থাকা সবকটি গাড়ি পর্যন্ত তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। বাঁধের ধ্বংসস্তূপ পড়ে ভূমিক্ষয় শুরু হয়। বিপজ্জনক হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পৌঁছায় হেলিকপ্টার, উদ্ধারকারী দল। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। একে একে ২০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। লৌহ আকরিক খনির মালিকের কথায়, “এটা বিরাট একটা ট্র্যাজেডি। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমাদের শ্রমিকরা। বাঁধ ভাঙার সময় ওঁরা সকলে ক্যাফেটেরিয়ায় বসে খাচ্ছিলেন। এখনও বুঝতে পারছি না, ক’জন কী অবস্থায় আছেন। কারণ, সবটাই মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে।’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা গিয়েছে, ব্রুমদিনহোর ধ্বংসাত্মক ছবি। এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে সর্বস্ব হারিয়ে এক কোমর জল,কাঁদার ভেতরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মুহূর্ত আগেই ওই জায়গাটি তাঁর বাড়ি ছিল। কাঁদতে কাঁদতে অনেকেই বলছেন – বাঁধ সব ধ্বংস করে দিল।

                                       [‘টাইম বম্ব’! আবহাওয়া পরিবর্তনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাবধানবাণী বিজ্ঞানীদের]

কিন্তু কীভাবে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটল?  খনির মালিকের দাবি, এমনটা হওয়ার কথাই ছিল। গত ৩ বছর ধরেই বাঁধের অবস্থা খারাপ। প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু পরিবেশবিদরা বলছেন অন্য কথা। মারিয়ানোর বাঁধকে ইচ্ছমতো ব্যবহার করেছে খনির মালিকরা। এই দুর্ঘটনার জন্য ব্রাজিল প্রশাসন এবং খনি মালিকদের দায়ী করেছেন গ্রিনপিসের সদস্যরা। স্বভাবতই দায়ভার নিজেদের কাঁধে নিতে নারাজ খনিমালিকরা। তাঁরা গোটা ঘটনাটিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলেই মনে করছেন। বছরের শুরুতে এমন এক ভয়াবহ ঘটনায় সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন ব্রুমদিনহোর হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার। দেশের প্রেসিডেন্ট অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, দুর্গতদের সবরকম সাহায্য করবে প্রশাসন। কিন্তু প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা কি তাতে কমবে? বোধহয় না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement