নিজস্ব সংবাদদাতা: দু’দিন আগে থেকেই সতর্কবার্তা জারি ছিল৷ শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচিয়ে দিয়ে শনিবার ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাত-সহ বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়ল রোয়ানু৷ অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৪ জন৷ আহত ১০০-রও বেশি৷ সতর্কতা ব্যবস্থা হিসাবে ৫ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বাংলাদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত মন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরি মায়া জানিয়েছেন, রোয়ানুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত দেশ৷
১৪ থেকে ১৮টি উপকূলবর্তী জেলাতে সতর্কবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর৷ বাংলাদেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়৷ বন্দরে থাকা জাহাজগুলিকে বন্দর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ফেরি পরিষেবাও বন্ধ রাখতে বলা হয়৷ এদিন দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের বন্দরগুলির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজারের ১৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, মোঙ্গলার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও পায়রার ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সকাল ৯টায় আছড়ে পড়ে রোয়ানু৷ এই উপকূল সংলগ্ন ভোলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের দাপটে প্রায় ১০০-রও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ মারা গিয়েছেন দু’জন, এক শিশু ও এক মহিলা৷ আহত শতাধিক৷
প্রবল জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে ৩০০টি স্থানীয় পরিবার৷ ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে আটকে গিয়েছে সড়কপথও৷ ফলে ব্যাহত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থা৷ রোয়ানুর জন্য চট্টগ্রামে শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে প্রায় সবক’টি বিমানের উড়ানই৷ বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.