সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বগ্রাসী দাবানলের মাঝেই অস্ট্রেলিয়ায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যামিয়েন’। শনিবার বিকেলে দেশটির পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়ে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়। ফলে একের পর এক হড়পা বানের শিকার হয় অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।
জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ড্যামিয়েন। যদিও এখনও পর্যন্ত বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারালেও তীব্র ঝোড়ো হাওয়া সমস্যা বাড়িয়েছে বাসিন্দাদের। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত। অন্যদিকে গত তিনদিন ধরে প্রায় বিরামহীনভাবে বৃষ্টি চলছে অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের সিডনি এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের বিভিন্ন এলাকায়। যার জেরে একাধিক হড়পা বানে বিধ্বস্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৯৯৮ সালের পরে বৃষ্টিপাতের জেরে এমন পরিস্থিতি এই প্রথম দেখছে অস্ট্রেলিয়া। তাড়াতাড়ি তা নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছে তারা। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে কুইন্সল্যান্ডেও বলে সতর্কবার্তা জারি করেছেন আবহাওয়াবিদেরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ায় বিপুল পরিবর্তন এসেছে দাবানলের জন্য। ঝোড়ো আবহাওয়া এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁদের মতে, হাওয়া গরম এবং শুষ্ক হয়ে ওঠায় সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। রবিবারও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ১২টিরও বেশি দাবানলের খবর মিলেছে বলে জানায় ব্যুরো অব মেটিরিয়োলজি।
গত কয়েকমাস ধরে এই দাবানলের জন্য অস্ট্রেলিয়া বিস্তীর্ণ অংশে খরা পরিস্থিতি। উচ্চ তাপমাত্রা, বাড়তি আর্দ্রতা। পরিবেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ বাসিন্দারা। তারপর জঙ্গলের আগুন জ্বলতে থাকায় হাওয়া দিক পরিবর্তন করে অন্যত্রও উষ্ণতা বাড়াচ্ছে। জনসাধারণের একটা বড় অংশই এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে দায়ী করেন। পরিবেশ বাঁচাতে, উষ্ণায়ন রোধে তাঁর সরকারের ভূমিকা একেবারেই নেতিবাচক বলে সমালোচনা শুরু হয়। তবে নতুন বছরের শুরুতে বৃষ্টি শুরু হয় পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় অনেক জায়গায়। কিছু কিছু জায়গায় তো হড়পা বানের ফলে বন্যা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.