প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) প্রতিরোধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড (Covishield) নেওয়ার পর দেশ-বিদেশের অনেকেরই রক্ত জমাট বাঁধার কথা সামনে এসেছে। কারও আবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কথাও জানা গিয়েছে। যে কারণে গবেষকরা এই সংক্রান্ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, কোভিশিল্ড নিলে প্রতি পঞ্চাশ হাজারে একজনের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা সামনে এসেছে। কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা ভয়ংকরভাবে শরীরে প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে সেই সংখ্যাটা নামমাত্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র পাওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ডের টিকা গ্রাহক সংখ্যা অনেকটাই বেশি। প্রথম থেকেই অবশ্য বলা হয়েছিল যদি কারও রক্তজনিত সমস্যা বা অ্যালার্জি থাকে, তাহলে এই টিকা নেওয়া যাবে না। তবে প্রথমে ভয় ছিল বয়স্কদের নিয়ে। এখন দেখা যাচ্ছে, নবীন প্রাপ্তবয়স্কদেরও বিপদের ঝুঁকি রয়েছে।
তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন কোভিশিল্ড টিকাগ্রাহকরা। ভারতেও একই ধরনের গবেষণায় জানা গিয়েছিল, ভারতে ৩২০ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা পেয়েছেন গবেষকরা। একই সঙ্গে তাঁদের প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। লন্ডনের গবেষকরা জানাচ্ছেন, যাঁদের প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতের পাশাপাশি ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও টিকা নেওয়ার পর একই ধরনের কিছু ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতের এক গবেষক চিকিৎসক আগেই জানিয়েছিলেন, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ। কারও যদি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়, তাহলে এর কারণ রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া হতে পারে। আপনি যদি ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেন এবং তাঁদের এক মাসের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখেন; তাহলে তাঁদের মধ্যে অনেকের রক্ত জমাট বাঁধা এবং স্ট্রোকের ঘটনা পাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.