সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্ব যখন করোনা নামক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত। তখনও এই মারক ভাইরাসকে হাতিয়ার করে নোংরা খেলায় মেতেছে পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালুচিস্তান এলাকাকে ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নির্বাসনে পাঠানোর জন্য। অথচ, ওই এলাকায় করোনা চিকিৎসার ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই। গিলগিট-বালুচিস্তানের আধিকারিকদের ঢাল-তলোয়ার ছাড়ায় লড়তে হচ্ছে এই মহামারির বিরুদ্ধে। গিলগিট-বালুচিস্তান এলাকারই এক সমাজকর্মী সেঙ্গে এইচ শেরিং (Senge H Shering )পাক সরকারের কুকীর্তি ফাঁস করেছেন।
তাঁর কথায়, গত কয়েকদিনে গিলগিট-বালুচিস্তান এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। তার কারণ পাক সরকার ইরান ফেরত তীর্থযাত্রীদের মূল ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে এই এলাকায় নির্বাসনে পাঠিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের কারও শরীরে করোনার সংক্রমণ দেখা দিলেই তাকে তড়িঘড়ি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানো হচ্ছে। গিলগিট-বালুচিস্তানের (Gilgit-Baltistan) বিভিন্ন জায়গায় তাদের রাখা হচ্ছে। সেনাকর্তারা নিজেদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কোভিড ১৯ আক্রান্তদের আইসোলেশনের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে ভারত সীমান্তে।
সেঙ্গে এইচ শেরিং বলছেন, “গিলগিট-বালুচিস্তানে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকা সত্বেও পাকিস্তান সরকার ইরান-ফেরত তীর্থযাত্রীদের পরিকল্পনা করে এই এলাকায় পাঠাচ্ছে।তাও কোনওরকম পরীক্ষা না করেই। এতে গিলগিট-বালুচিস্তানের আধিকারিকদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।” সম্প্রতি অসামা রিয়াজ নামের বালুচিস্তানের এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে কাজ করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ এই সমাজকর্মী পাক সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। পাকিস্তান ইরান সীমান্ত সিল করেছে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। কিন্তু তাতেও নাগরিকদের ইরান যাওয়া আটকাতে পারছে না। যারা লুকিয়ে ইরান থেকে ফিরছে, তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে। পাক সরকার দেশজুড়ে লকডাউন জারি না করায় ক্ষুব্ধ শেরিং। তাঁর মতে এর ফলে ব্যাপকভাবে আক্রান্তও হবে পাকিস্তান। একই সঙ্গে লকডাউনের সিদ্ধান্তের জন্য ভারত সরকারেরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.