ছবিটি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের অধিকাংশ দেশই যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য চিনের দিকে আঙুল তুলেছিল এবং এখনও তুলে চলেছে, তখনই তাৎপর্যপূর্ণভাবে চুপ ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO। উলটে এতকিছুর মধ্যেও চিনের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ওবার মৌনতা ভাঙল WHO। শুক্রবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের নেপথ্যে চিনের ইউহানের একটি পাইকারি বাজারের ভূমিকা ছিল। তবে তা ভাইরাসের উৎস হিসাবেও হতে পারে, আবার পরিবর্ধক হিসাবেও হতে পারে। চাঞ্চল্যকর এই ঘোষণায় কার্যত স্তম্ভিত বিশ্ব।
ভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব হতেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই বাজারটি প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী হিসাবে পশুপাখি বিক্রির উপরও অস্থায়ীভাবে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এদিন WHO’র সদস্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড: পিটার বিন এমবারেক দাবি করেন, “সংক্রমণের ব্যাপারে ওই বাজার যে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। কিন্তু সেই ভূমিকা যে কী, তা এখনও আমরা জানি না। ওই বাজারের চারপাশে যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল, তার পিছনে ওই বাজারই ছিল, না কি গোটা ব্যাপারটাই অনুমান, তা গবেষণা সাপেক্ষ বিষয়।” ওই বিশেষজ্ঞের দাবি, বাজারে বিক্রি হওয়া পশুদের থেকে বা ক্রেতা-বিক্রেতাদের থেকে ভাইরাস ছড়াতেই পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, ইউহানের একটি গবেষণাগার থেকেই যে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, তা নিয়ে তাঁদের কাছে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ’ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দুনিয়ার সামনে আসেনি। ইতিমধ্যেই অবশ্য পম্পেওর দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে জার্মানির একটি তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি WHO’র ওই বিশেষজ্ঞ। তাঁর দাবি, ২০১২ সালে MERS (Middle East Respiratory Syndrome) ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল সৌদি আরবে। যা পরে ছড়িয়ে পড়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে। কিন্তু এই ভাইরাসের উৎপত্তি খুঁজে পেতে এক বছর লেগে গিয়েছিল। পরে জানা যায়, উট থেকেই ভাইরাসটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.