সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্বে। হু হু করে বাড়ছে সংক্রামিত এবং মৃতের সংখ্যা। সংক্রামিত সন্দেহে কোয়েরেন্টাইন করা হয়েছে অনেককেই। জাপানে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হাজার জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের প্রমাণ। এই পরিস্থিতিতে আজব কাণ্ড ঘটালেন এক করোনা আক্রান্ত। মারণ চিনা ভাইরাস ছড়াতে একের পর এক পানশালায় ঘুরে বেড়ালেন ওই ব্যক্তি। হইচই পড়ার পরই পুলিশ ওই করোনা আক্রান্তকে আটক করে।
বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির বাবা-মা ছাড়া নিজের বলতে আর কেউ নেই। দিনকয়েক ধরেই তাঁর বাবা-মা সর্দি, কাশি, জ্বরে ভুগছিলেন। তাই করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাঁদের ভরতি করা হয় হাসপাতালে। একই বাড়িতে বসবাসের জেরে তাঁর শরীরেও করোনা বাসা বাঁধেনি তো, এই চিন্তাই মাথায় আসে সকলের। যদিও তাঁর সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর এমন কোনও উপসর্গই দেখা যায়নি। তাই বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে দিনকয়েক হাসপাতালে ভরতি রাখা হয়। তারপর তাঁকে বাড়িতে কোয়েরেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাঁর পরিজনদের দাবি, ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যান ওই ব্যক্তি। একদিন আচমকাই পরিজনদের ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি করোনা ভাইরাস ছড়াতে যাচ্ছি।” এই বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। একের পর এক পানশালায় গিয়ে পৌঁছন ওই ব্যক্তি। সেখানে থাকা প্রায় প্রত্যেকের কাছাকাছি যান। কারও সঙ্গে কথা বলেন আবার কাউকে জড়িয়ে ধরেন। সকলকেই বলতে থাকেন, “আমি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত।”
পানশালা কর্তৃপক্ষ পুলিশে ফোন করে। জানানো হয় করোনা আক্রান্ত এক রোগী পানশালার ভিতরে ঢুকে মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করেছে। ফোন পাওয়ার পর এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করেনি পুলিশ। প্রায় তৎক্ষণাৎ ওই পানশালায় পৌঁছয় তারা। তবে ততক্ষণে অন্য একটি পানশালায় পৌঁছে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। সেখানেও যান পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এরপর সোজা ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অবশেষে সেখান থেকে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে। আপাতত একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাঁকে। এদিকে, ওই পানশালাগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.