সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার পর কি ভুখমারির মার? অন্তত এমনটাই আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রসংঘ। ভয়ংকর মহামারি রুখতে বিশ্বজুড়ে যেভাবে লকডাউন জারি করা হয়েছে, তার জেরেই অনভিপ্রেত খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের (United Nations)। তাঁরা বলছে, খাবারের অভাব এখনই তৈরি হয়নি। কিন্তু লকডাউনের জেরে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন এবং পরিবহণ বন্ধ হয়ে পড়েছে, তাতেই সংকট সৃষ্টির সম্ভাবনা।
করোনা আতঙ্কের জেরে বিশ্বের বহু দেশে সম্পূর্ণরুপে লকডাউন চলছে। বন্ধ আন্তর্জাতিক সীমান্ত। আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ, ব্যবসা বাণিজ্যেও হাড়ির হাল। রাষ্ট্রসংঘের আশঙ্কা, এর জেরে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে। যার ফলে যে সমস্ত দেশে উপযুক্ত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন হয় না, যাদের খাদ্যের জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভর করতে হয়, সেই সমস্ত দেশ চরম সমস্যায় পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত দেশ উপযুক্ত পরিমাণ খাদ্য তৈরি করতে পারে, তাঁদেরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সিল করার দরুন সেই দেশগুলিতেও খাদ্য সরবরাহের শৃঙ্খল নষ্ট হতে পারে। এই দেশগুলির কাছে আসল চ্যালেঞ্জ হল, মজুত খাদ্য অভুক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
একটি সমীক্ষা বলছে, বিশ্বব্যপী প্রায় ৮০ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই খাদ্য সংকটে ভুগছেন। রাষ্ট্রসংঘের ধারণা, আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটির (Committee on World Food Security) আশঙ্কা, খাদ্যের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে গরিব ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ। এই উদ্ভুত সংকট থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত বিশ্বজুড়ে খাদ্য পরিবহণের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করছে রাষ্ট্রসংঘের ওই কমিটি। শুধু রাষ্ট্রসংঘ নয়, কয়েকটি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নেসলে, পেপসিকো, ইউনিলিভারের মতো কয়েকটি সংস্থা রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লিখে দ্রুত খাদ্য সংকটের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে অনুরোধ করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.