সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার থাবায় চিনের পর জেরবার ইউরোপের দেশ ইটালিও। মহামারির আকার নিয়েছে সংক্রমণ। এতটাই দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে যে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সে দেশের সরকার। দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশকে কার্যত গৃহবন্দি করে ফেলেছে ইটালি সরকার। চিনের পর সবচেয়ে বেশই যে দেশে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস, সেটা হল ইটালি। গোটা বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ বর্তমানে ভাইরাসে আক্রান্ত। এবং তা দ্রুত হারে বাড়ছে। রবিবার লাতিন আমেরিকায় প্রথম কোনও আক্রান্তের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
এই মুহূর্তে সরকারি হিসাবে ইটালিতে ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩৩ ছুঁয়েছে। তবে বেসরকারি মতে, এই সংখ্যাটা আরও বেশি বলে দাবি ইটালির সংবাদমাধ্যমগুলির। দেশের এমনই অবস্থা যে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষদের গৃহবন্দি করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। ইটালিতে এখন অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। উত্তর ইটালিতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি শরণার্থী শিবিরের রূপ নিয়েছে। প্রায় ভেনিস এবং দেশের বাণিজ্যনগরী মিলানের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে দেড় কোটি মানুষ রয়েছেন। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, দেশের উত্তর ভাগে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ বা প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশজুড়ে মাল্টিপ্লেক্স, প্রেক্ষাগৃহ এবং মিউজিয়ামগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইটালির মৃত্যু মিছিলে এখন গোটা ইউরোপ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দেশের বাসিন্দারা এখন আশার আলো খুঁজছেন ভ্যাটিকানের কাছে। যদিও পোপ ফ্রান্সিসের শরীরও খুব একটা ভাল নেই। এবার প্রথম তাঁর অ্যাঞ্জেলাস প্রার্থনা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে দেখানো হবে। যেটাতে পোপ বরাবর ভ্যাটিকানের অলিন্দ থেকে যোগ দিতেন। কিছুদিন আগেই তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। অবশ্য তাঁর শরীরে ভাইরাস মেলেনি। কিন্তু আশঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.