সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারি করোনায় বিশ্বজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় দুনিয়ার বহু দেশে লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। প্রতিটি দেশের প্রশাসনই নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। করোনা রুখতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপ। প্রায় প্রতিদিনই জরুরি বৈঠকে বসছেন নেতা-মন্ত্রীরা। আর ঠিক এমন সময় একেবারে অন্য ছবি থাইল্যান্ডের। সেখানকার রাজা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে একেবারে চারতারা হোটেলে গিয়ে উঠেছেন থাইল্যান্ডের রাজা। তাও আবার ২০ জন রক্ষিতাকে সঙ্গে নিয়ে।
জার্মানির চারতারা হোটেল। অন্দরে রয়েছে বিনোদনের সবরকম ব্যবস্থা। এককথায় রাজার হালেই দিন কাটাচ্ছেন থাই রাজা মহা বাজিরালংকর্ণ। জানা গিয়েছে, ওই হোটেলেই সেল্ফ আইসোলেশনে থাকবেন তিনি। তবে একা নন। রাজার মনোরঞ্জনের জন্য সেখানে উপস্থিত কুড়িজন রক্ষিতা এবং পরিচারক-পরিচারিকারা। তবে তাঁর চার স্ত্রীও এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেল্ফ আইসোলেশনে থাকবেন বলে গোটা হোটেলটিই ভাড়া করেছেন রাজা। সেখানে বাকিদের প্রবেশে বাধানিষেধ রয়েছে। জেলা কাউন্সিলের তরফে বিশেষ অনুমতি নিয়েই হোটেলটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের নির্দেশে জার্মানির ওই এলাকার সমস্ত হোটেলই বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও পর্যটকের থাকা অনুমতি নেই। এমনকী হোটেলকর্মীদেরও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম শুধু এই গ্র্যান্ড হোটেল সোলেলবিচ (Grand Hotel Sonnenbichl)। এখানেই থাকছেন রাজা।
মহামারি মোকাবিলায় গোটা বিশ্বের রাতের ঘুম উড়েছে। থাইল্যান্ডেও আক্রান্ত বহু মানুষ। সেখানে রাজার এমন সিদ্ধান্তের অনেকেই সমালোচনা করছেন। কারণ থাইল্যান্ডে প্রশাসন থাকলেও মূল ক্ষমতা রাজার হাতেই। আর দেশের দুর্দিনে তিনিই দেশ থেকে বহুদূরে বসে। ‘প্রজা’দের প্রতি কি কোনও দায়িত্বই নেই তাঁর? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.