সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের মামলা। এপর্যন্ত কোভিড -১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ লক্ষ ৬০৭ জন মানুষ। এই মারণ রোগের কবলে পড়ে গোটা বিশ্বে এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭২১ জন। এহেন পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্ক শহরে কিছুটা হলেও গতি রুদ্ধ হয়েছে করোনার মৃত্যুমিছিলের।
বিশ্বে করোনা মহামারির দাপটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৩৬। এপর্যন্ত ওই দেশে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ হাজার মানুষের। তবে, কিছুটা স্বস্তি দিয়ে নিউ ইয়র্ক শহরে দৈনিক প্রাণহানির সংখ্যা ১০০-র নীচে নেমে এসেছে। এই পরিসংখ্যানকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাফল্য হিসেবেই দেখছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। তিনি বলেন, “দৈনিক মৃতের সংখ্যা একশোর নীচে নামিয়ে আনার চেষ্টা বহুদিন ধরেই করছিলাম আমরা। এবারে সেটা সম্ভব হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা ঠিকঠাক পথেই এগচ্ছি।” পরিসংখ্যান বলছে, গত ৮ এপ্রিল নিউ ইয়র্কে ৭৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেখান থেকে প্রাণহানি সংখ্যা কমে ৮৪-তে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে প্রশাসন ও বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিকে, অভিনব কায়দায় দেশে করোনায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’। রবিবার ওই সংবাদপত্রের প্রথম পাতা জুড়ে মৃতদের তালিকা ও ছোট করে স্মৃতিচারণা প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এশীয় কোনও দেশ থেকে নয়, গত দু’-তিন মাসে ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে আসা পর্যটকদের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। মার্কিন দৈনিকের ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই করোনা সংক্রমণ শুরু হয় আমেরিকায়। এবং মার্চের ১১ তারিখ অবধি ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় এসেছেন পর্যটকরা। এবং ৩১ জানুয়ারি চিন থেকে আকাশপথে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে করোনা নিয়ে গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.