Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

শীতের আগে ভ্যাকসিন না এলে আরও ভয়াবহ হতে পারে করোনা, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

শীত পড়লে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখতে পারেন বিশ্ববাসী, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা।

Coronavirus may get WORSE during the winter, Warn health experts

শীত পড়লে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখতে পারেন বিশ্ববাসী, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 25, 2020 11:10 am
  • Updated:August 25, 2020 11:59 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনা (COVID-19) ত্রাস। দু’কোটির উপর আক্রান্ত। ভ্যাকসিন ছাড়া কোনও গতি খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে বর্ষা কাটতেই শীতের প্রকোপ বাড়বে, তাতে বেশ খারাপ অবস্থা হবে সাধারণের। শীত কড়া নাড়লেই করোনার প্রকোপ বাড়বে বলেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা সাবধান করছেন, শীত পড়লে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখতে পারেন বিশ্ববাসী।

এমনিতেও শীতকালে সর্দিকাশির প্রভাব বেশি থাকে। কারও কারও টাইফয়েড, নিউনোমিয়াও হয়। ভাইরাল জ্বরও ঘরে ঘরে। এর মধ্যে যদি করোনা বাড়ে, সেটা সামলানো কঠিন হবে। তাই এবছরের শীতকাল নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। বিজ্ঞানীরা এও জানাচ্ছেন, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি কতটা হয়েছে, তা কেউ জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বছরের শীতে করোনা ভাইরাসের (CoronaVirus) দ্বিতীয় ধাক্কা হবে আরও বেশি ভয়ংকর। সমগ্র বিশ্বের খারাপ পরিণতির অবস্থা বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা একটি মডেল তৈরি করেছেন। তাতে বলা হচ্ছে, ব্রিটেনের হাসপাতালেই ২৪ হাজার ৫০০ থেকে ২ লাখ ৫১ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ২০২১ সালে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিষের প্রভাবেই গুরুতর অসুস্থ পুতিন বিরোধী নেতা নাভালনি, নিশ্চিত করলেন বার্লিনের চিকিৎসকরা]

করোনার প্রথম ধাক্কায় সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ব্রিটেনে (UK) আক্রান্ত হয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি। দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ কেটে যাওয়ার ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত এঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা শীর্ষে ছিল, তারপর ধীরে ধীরে কমে শেষটায় পুরো উধাও হয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ৬০ শতাংশ রোগীর শরীরে সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে ভাল অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশের শরীরে সেই পরিমাণ অ্যান্টিবডি সংক্রমণের ৩ মাস পরেও থাকে। অর্থাৎ শীতকালের পরে এই ১৭ শতাংশ বাদে বাকিদের নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এর মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে সংক্রমণ কমানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement