সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমোদন না পেলেও রাশিয়ার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন (Coronavirus vaccine) ইতিমধ্যেই বাজারে এসেছে। এবার বাজারে আসতে চলেছে চিনের তৈরি করোনার ভ্যাকসিনও। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের এক আধিকারিকের দাবি, তাঁদের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা আগামী নভেম্বরের মধ্যেই সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য বাজারে আনা হতে পারে।
চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চিনের চারটি করোনার ভ্যাকসিন (China coronavirus vaccine) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এর মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন এমন আছে, যা কিনা ইতিমধ্যেই চিনের স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই এপ্রিল মাসেই জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে চিন। গুইজেন য়ু নামের ওই আধিকারিক এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চিনের ভ্যাকসিনগুলির চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল খুব ভালভাবে এগোচ্ছে। এবং সব ঠিক থাকলে নভেম্বর বা ডিসেম্বরের শুরুতেই সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। য়ু জানিয়েছেন, তিনি নিজেও এপ্রিল মাসে চিনের তৈরি একটি টিকার ডোজ নিয়েছেন। এবং এখনও পর্যন্ত তাঁর শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই চিনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিনোফার্ম বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের মতো দেশে করোনার (COVID-19) টিকার ট্রায়াল চালিয়েছে। শোনা যাচ্ছে এবার আফগানিস্তানে চিকিৎসাকর্মীদেরও এই টিকা দেওয়া হবে। এর আগে সিনোফার্মের এক কর্তা দাবি করেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই তাঁদের তৈরি করোনার টিকা বাজারে চলে আসবে। এমনকী এই টিকার দাম হাজার ইয়ান অর্থাৎ প্রায় দশহাজার টাকা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও, গুইজেন য়ু নামের এই সরকারি আধিকারিক আদৌ সিনোফার্মের টিকার কথা বলছেন, নাকি অন্য কোনও টিকার কথা বলছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে, চিন যদি নভেম্বরে সাধারণ মানুষের জন্য টিকা আনে, তাহলে তা চমকপ্রদ ব্যাপার হবে। কারণ, রাশিয়ার মতো চিনা টিকা সম্পর্কেও তেমন তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.