সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার জেরে বিশ্বজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। ভয়াবহ অবস্থা ইউরোপের প্রথম সারির দেশগুলিতে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইটালিতে। তারপরেই ফ্রান্স ও স্পেন। সংক্রমণ এড়াতে এবার দেশের ৬ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষকে ঘরেই থাকার নির্দেশ দিল ফ্রান্স প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড ফিলিপে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফ্রান্সে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত অন্তত সাড়ে চার হাজার মানুষ। যার ফলে দেশের একাধিক শহরে দোকানপাট, রেস্তরাঁ, বিনোদন-প্রমোদ বন্দোবস্ত বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কবিতার শহর প্যারিস এখন খাঁ খাঁ করছে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সমস্ত রেস্তরাঁ, পর্যটনস্থল, সিনেমা হল, পানশালা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬ কোটি মানুষকে ঘরেই থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা পেট্রল পাম্প, ফার্মেসি, খাবারের দোকানগুলিতেও বলবৎ হয়েছে। গোটা দেশে কার্যত এখন অঘোষিত জরুরি অবস্থা। ফিলিপের বক্তব্য, রবিবার দেশের একাধিক জায়গায় স্থানীয় নির্বাচনও কড়া নজরদারির মধ্যে করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলেই এমন নির্দেশিকা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সত্তরোর্ধ্ব এবং ছোটদের বিশেষভাবে বাড়ির বাইরে না বেরনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগেই দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একই অবস্থা প্রতিবেশী দেশ স্পেনেও। করোনার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই। যার ফলে দেশের ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষকে আংশিক গৃহবন্দি করেছে ওই দেশের সরকার। স্পেনে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইটালির পর স্পেনই হল ইউরোপের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজ জানিয়েছেন, করোনার জেরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে সরকার। দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ, রেস্তরাঁ, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মৃত্যর সংখ্যা ছিল ১৯৩। খোদ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত। ফলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ইটালির প্রতিবেশি স্পেন ও ফ্রান্সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.