সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে কিছুতেই থামছে না মৃত্যুমিছিল।সভ্যতার শিখরে পৌঁছেও কেমন যেন অসহায় আমেরিকা। করোনা ভাইরাসের কাছে কার্যত হার স্বীকার করে নিয়েছে ‘আঙ্কল স্যাম’। তবে, এ হার ভিয়েতনামের চাইতেও বড়।পরিসংখ্যান বলছে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের থেকেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছে মার্কিন মুলুকে।
ফরাসি সাম্রাজ্যবাদীদের মদত দিতে ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল আমেরিকা। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চলা সেই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল ৫৮ হাজার ২২০ জন মার্কিন সেনাকে। কিন্তু, এবার তিন মাসেই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা তা ছাপিয়ে গিয়েছে। বুধবার পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৬৯। পাশাপাশি, আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যাও ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এদিন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৭২। একই সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের হাজার সতর্কবার্তা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতিকে মূল স্রোতে ফেরাতে দ্রুত লকডাউন শিথিল করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ওয়াশিংটন-সহ একাধিক প্রদেশ লকডাউন তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে, থিওডর রুজভেল্টের পর আরও একটি মার্কিন রণতরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪-তে পৌঁছল। সেনাকর্মীদের চিকিৎসা এবং জাহাজটিকে জীবাণুমুক্ত করতে সান দিয়েগোর একটি বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল চিন হলেও এই মারণ জীবাণু সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আমেরিকার। মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে ভেন্টিলেটরের অভাবকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অত্যন্ত জরুরি মেশিনটি পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকলে অনেক করোনা আক্রান্তকেই বাঁচানো যেত বলেই মনে করছেন তাঁরা। সদ্য, ইতিমধ্যেই নাসার তৈরি ভেন্টিলেটর কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তাতেও সাফল্যও মিলছে। নাসার প্রযুক্তিতে তৈরি ভেন্টিলেটর সমাদৃত হচ্ছে আমেরিকার চিকিৎসক মহলেও। নিউ ইউর্ক, নিউ জার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া-সহ একাধিক শহরের হাসপাতালগুলিতে চাহিদা মতো ভেন্টিলেটর ছিল না বলে বিস্তর অভিযোগ উঠছিল। একই সঙ্গে গোড়াতেই লকডাউন না করে পরিস্থিতি জটিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বিষয়টির গুরুত্ব যথাসময়ে বোঝেননি বলেও অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.