সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কোনও যুগান্তকারী আবিষ্কারের নেপথ্যে বহু মানুষের অবদান থাকে। এই মুহূর্তে বিশ্বের ত্রাস নোভেল করোনা ভাইরাসকে বাগে আনতে ওষুধ ও প্রতিষেধক আবিষ্কারে মরিয়া বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এই মহান কাজে স্বেচ্ছায় ‘গিনিপিগ’-এর ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে এসেছেন। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে MRNA-1273 অ্যান্টি ভাইরাসের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। প্রথমবার নতুন ওষুধ নিজের শরীরে নিলেন সিয়াটেলের জেনিফার হলার এবং আরও তিনজন। এমন এক আবিষ্কারের কাজে নিজেকে শামিল করতে পেরে খুশি, জানালেন জেনিফার।
ওয়াশিংটনের সিয়াটেলের কাইসার পারমানেন্ট গবেষণা কেন্দ্র। এখানেই পরীক্ষাগার তৈরি করে মানবশরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগের কাজ চলছে। একইসঙ্গে চলছে গবেষণার কাজও। সোমবার চারজনের শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয় প্রতিষেধক। আমেরিকার ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউশন এবং একটি জৈবপ্রযুক্তির উপর কাজ করা একটি সংস্থা যৌথভাবে এই কাজে হাত লাগিয়েছে।
মডার্ন থেরাপিউটিক্স নামে বায়োটেকনোলজি সংস্থা জানাচ্ছে, শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্যই প্রতিষেধকটি তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, COVID-19 ভাইরাসের মতো একই চরিত্রের জেনেটিক কোড নিয়ে তা থেকে একটি প্রতিষেধক তৈরি করা হয়েছে, যা মানবশরীরের পক্ষে একেবারেই ক্ষতিকারক নয়। বরং তা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। মানুষের পাশাপাশি পশুর শরীরে প্রয়োগের উপযুক্ত করে তৈরি হয়েছে প্রতিষেধকটি। যার নাম MRNA-1273.
নোভেল করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগ করার জন্য আমেরিকার ৪৫ জন মানুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, যাঁরা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে এই পরীক্ষার মুখে দাঁড় করিয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম জেনিফার হলার। ৪৩ বছরের মহিলা, দুই সন্তানের মা। তিনিই প্রথম নিজের শরীরে টিকা গ্রহণ করলেন। তাঁর শরীরে নতুন প্রতিষেধক কী প্রভাব ফেলে, তা দেখার অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা। তাঁদের তরফে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, প্রতিষেধকটি অন্তত কোনও ক্ষতি করবে না। আর প্রত্যাশামতো যদি প্রতিষেধকে মানবশরীরে কাজ করতে শুরু করে, তাহলে সেই পথেই এগনো হবে। তবে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়েও সতর্ক করেছেন যে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রতিষেধকটি বিশেষ কাজ করবে না। প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে, এবার শুধু ফলাফল পাওয়ার অপেক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.