Advertisement
Advertisement
করোনা আক্রান্ত দম্পতি

করোনায় ছেদ পড়ল ৫১ বছরের দাম্পত্যে, ছ’মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যু স্বামী-স্ত্রীর

বাবা-মাকে আলাদা করা যাবে না, ভিডিও শেয়ার করে বললেন ছেলে।

Corona virus infected elderly couple dies 6 minutes apart
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 6, 2020 10:52 am
  • Updated:April 6, 2020 10:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। তারপরই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত। বিয়ের পর একসঙ্গে কেটে গিয়েছে একান্ন বছর। ঝগড়াঝাটি, মন কষাকষি হয়েছে তবে দাম্পত্যে ছেদ পড়েনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস সেই সম্পর্কে কাটল ছেদ। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। স্বামীর মৃত্যুর মাত্র ছ’মিনিটের মধ্যে প্রাণ হারালেন স্ত্রীও। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের সমীকরণের কথা ভাগ করে নেন দম্পতির ছেলে। সে কাহিনি শুনে চোখে জল নেটিজেনদের।

ফ্লোরিডার বাসিন্দা বছর চুয়াত্তরের স্টুয়ার্ট বেকার এবং বাহাত্তর বছর বয়সি আন্দ্রিয়ান বেকারের একমাত্র ছেলে সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। ওই দম্পতির ছেলে ভিডিওর মাধ্যমে বাবা-মায়ের জীবনের শেষ দিন কটার কথা উল্লেখ করেছেন। বাড্ডি বেকার জানান, “বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তাঁর বাবার জ্বর আসছিল। ওষুধপত্র খাচ্ছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন সুস্থ হয়ে যাবেন। মা প্রতি মুহূর্তে বাবার খেয়াল রাখছিলেন। তারপর একদিন বাবার অতিরিক্ত জ্বর আসে। ভরতি করা হয় হাসপাতালে। একদিন আচমকা ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। জানতে পারি বাবার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ করোনা ভাইরাস। মা তখন সুস্থই ছিলেন। তবু সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, মায়ের শরীরেও অক্সিজেনের মাত্রা কম। তাই তাঁকেও হাসপাতালে ভরতি করা হয়।”

Advertisement

বাড্ডি আরও বলেন, “বাবার অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। মা-বাবা দুজনে কাউকে ছেড়ে থাকতে চাইছিলেন না। তাই ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাঁদের একসঙ্গে রাখব। একই কেবিনে দুটি আলাদা বেডে তাঁদের রাখা হয়। একদিন হাসপাতাল থেকে জানানো হয় বাবা মারা গিয়েছেন। সেই শোক সামলে উঠতে পারিনি তখনও তার মাঝেই শুনি মাও মারা গিয়েছেন।”

[আরও পড়ুন: মানুষের পর এবার করোনায় আক্রান্ত বাঘ! উপসর্গ অন্য পশুর শরীরেও]

বয়স বেড়েছিল। তবে বেঁচে থাকাকালীন কোনও অশান্তিই বেকার দম্পতির জীবনে ছেদ কাটতে পারেনি। পরিবর্তে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে জীবনের সুখ, দুঃখ ভাগ করে নিয়েছিলেন তাঁরা। মৃত্যুও আলাদা করতে পারল না তাঁদের।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement