সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন সীমান্তে নয়া চাপে ভারত! এবার বেআইনিভাবে দখল করে রাখা আকসাই চিন (Aksai Chin) এলাকায় রেললাইন বানাচ্ছে চিন। সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছ দিয়ে এই রেললাইনটি তৈরি হবে। যা আগামীদিনে চিনের বৃহত্তর যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।
সূত্রের খবর, তিব্বত প্রশাসনকে ওই রেললাইন নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। LAC’র খুব কাছ দিয়ে ওই লাইনটি আগাগোড়া আকসাই চিনের উপর দিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন করে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার লাইন তৈরি করতে চাইছে তিব্বত প্রশাসন। এর একটা বড় অংশ আকসাই চিনের উপর দিয়ে যাবে।
এই রেললাইন নির্মাণের আগে লাদাখ সীমান্তে সেনা টহলদারিও বাড়িয়েছে চিনারা। কিছুদিন আগেই ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সেকথা স্বীকার করেছেন। অর্থাৎ চিনের এই অসাধু চেষ্টা সম্পর্কে ভারতও অবগত। অথচ নয়াদিল্লি এখনও এর কোনও পালটা প্রতিক্রিয়া দেয়নি। প্রসঙ্গত, আকসাই চিন (Aksai Chin) ইস্যুতে শুরু থেকেই ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। ওই ভূখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে নয়াদিল্লি। সেই আকসাই চিনের উপর দিয়েই রেললাইন বানাচ্ছে চিন সরকার। স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন। যদিও প্রকাশ্যে এই ইস্যুতে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বস্তুত, দিল্লিতে বসে সরকার যতই বাগ-আড়ম্বর করুক, চিন সীমান্তে ভারতের অবস্থা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সম্প্রতি লে এবং লাদাখের পুলিশ সুপার পি ডি নিত্য (PD Nitya) লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা করেছেন দিল্লিতে। তাঁর রিপোর্ট অনুযায়ী লাদাখ ফ্রন্টিয়ার এলাকায় এই মুহূর্তে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীরা বেশ ব্যাকফুটে। পিডি নিত্যা তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, লাদাখ (Ladakh) ফ্রন্টিয়ারে মোট ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ভারত। ৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে ১৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট, ২৪ থেকে ৩২ এবং ৩৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে (Petroling Point) আর ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ন্ত্রণ নেই। এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলিতে ভারতের নিরাপত্তারক্ষী বা সাধারণ নাগরিক কেউই দীর্ঘদিন যেতে পারেননি। এর ফলে লাদাখের ফ্রন্টিয়ারে যে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে, তার একটা বড় অংশে এখন নিয়ন্ত্রণ নেই ভারতের। যদিও সেনা সেই রিপোর্ট খণ্ডন করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.