সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান! নিশ্চিতভাবেই ‘ওয়াজির-এ-আজম’ বা পাক প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরান খান। যদিও নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তাঁর দল। তবুও বুধবার ইমরান খানকেই জয়ী বলে ঘোষণা করল পাক নির্বাচন কমিশন। এবার অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গড়ে পাকিস্তানের মসনদে বসতে হবে তাঁকে। যা কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[চন্দ্রগ্রহণের সময় এই নিয়মগুলি মেনে চলেন? তাহলে ভুল করছেন]
গত ২৫ জুলাই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন। ত্রিমুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) বা পিএমলএন ও বেনজির ভুট্টোর স্মৃতিবিজড়িত পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। ৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাক পার্লামেন্ট বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে লড়াই হয় ২৭২টি আসনে। ৭০টি সংরক্ষিত থাকে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য। যেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে পেতে হত ১৩৭টি আসন। শুক্রবার পর্যন্ত দেখা গিয়েছে ইমরানের দলের ঝুলিতে এসেছে ১১০টি আসন। তুলনায় অনেকটাই পিছনে রয়েছে নওয়াজের দল পিএমলএন ও বেনজির ভুট্টোর পিপিপি। তাদের দু’দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা যথাক্রমে ৬৩ ও ৪২। এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পেয়েই ইমরান খান ও তাঁর দলকে নির্বাচনে জয়ী হিসাবে ঘোষণা করেছে পাক নির্বাচন কমিশন। এখন কেবল জোটসঙ্গী খুঁজে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার জন্য সময় গুনছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই পাক অধিনায়ক।
[ডোকলামে ফের তৎপর হচ্ছে চিন, মার্কিন রিপোর্টেও উদাসীন নয়াদিল্লি]
২৫ তারিখ রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার শুরু থেকেই ইমরানের দলের জয় স্পষ্ট হচ্ছিল। যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধীরা। নির্বাচনে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও পাক সেনার কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কিছু সময় পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পিটিআই প্রধান। নির্বাচন পরবর্তী প্রথম ভাষণে, দেশবাসীকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পাশাপাশি, কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শোধরানোর কথাও বলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.