Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘মোল্লাতন্ত্র নিপাত যাক’, সর্বশক্তিমান খামেনেইর বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ইরানি জনতা

এ যেন ঐতিহাসিক চেরনোবিল প্রতিবাদের পুনরাবৃত্তি।

'Clerics get lost!': fierce Iran protests rage on for a third day
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 14, 2020 9:54 am
  • Updated:January 14, 2020 9:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ঐতিহাসিক চেরনোবিল প্রতিবাদের পুনরাবৃত্তি।তবে দুর্নীতিগ্রস্ত সোভিয়েত শাসন নয়, এবার ‘মোল্লাতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে গর্জে উঠল জনতা। তেহরানের রাজপথে এখন পড়ুয়া ও আম জনতার মুখে একটাই শ্লোগান–‘মোল্লাতন্ত্র নিপাত যাক’।

দীর্ঘ টালবাহানার পর গত শনিবার ভুল করে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ধংস করার কথা স্বীকার করে ইরান। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফ জানান, ‘ভুল করে’ ওই বিমানটিতে মিসাইল হামলা চালায় ইরানের ফৌজ। সরকারের এই স্বীকারোক্তির পরই রাজধানী তেহরান-সহ বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় প্রতিবাদ। তেহরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। সোমবার , রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবাদীদের অনেকেই বলছিলেন, ‘আমেরিকা শত্রু নয়। আমাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই শত্রু ঘরেই রয়েছে। শুধু তাই নয়, পড়ুয়ারা শ্লোগান দিচ্ছে, ‘ধর্মগুরুরা নিপাত যাক।’ ১৯৭৯ সালের পর এই প্রথম ইরানের সর্বশক্তিমান সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইর গড়ে ফাটল দেখা গিয়েছে। ‘ইসলামিক বিপ্লবে’ শাহকে দেশ ছাড়া করার পর এর আগে এহেন গণবিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়নি খামেনেইকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সত্যি হল আশঙ্কা, বোয়িং বিমানে মিসাইল হামলার কথা স্বীকার করল ইরান]

এদিকে, মঙ্গলবারও তেহরানের রাস্তায় শুরু হয়েছে সরকার বিরোধী প্রতিবাদ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধাসেনা মোতায়েন করেছে সরকার। জানা গিয়েছে, গতকাল প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। তারপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে ইরানকে বলেন, ‘নিজেদের মানুষের উপর গুলি চালাবেন না।’ সব মিলিয়ে দুর্নীতি, আর্থিক মন্দা, সরকারের দিশাহীন নীতি নিয়ে ক্রমেই জনরোষ বাড়ছে ইরানে। এর ফলে কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে খামেনেইর ‘মোল্লাতন্ত্র’। ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল আণবিক বিপর্যয়ের পর একইভাবে প্রবল জনরোষ ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৮ তারিখ বা গত বুধবার, তেহরানের ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেক উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। জানা যায়, বিমানটি ‘ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স’-এর। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় বিমানের ১৭৬ জন যাত্রীর। তারপরই তড়িঘড়ি ইরান জানিয়েছিল যে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে বিমানটি।                             

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement