সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এত দিন পর্যন্ত বিধিসম্মত সতর্কীকরণ ছিল শুধুই থাকতে হয় বলে! দেখা যেত খুব নিরীহ একটা আবছা ছবি, যেখানে নজরে পড়ত বিপদের মুখে ফুসফুস! সঙ্গে লেখা, ধূমপান কর্কট রোগের কারণ!
পুরনো এই সিগারেটের প্যাকেটগুলো নিশ্চয়ই ভুলে যাননি? খুব বেশি দিন তো হয়নি বাজার থেকে সেগুলো উধাও হয়ে যাওয়ার!
মুশকিল হল, সেই ছবিতে তেমন পাত্তা দিতেন না ধূমপায়ীরা। তাই তাঁদের ভয় দেখিয়ে সতর্ক করার জন্য নয়া আইনে সিগারেট এবং অন্য তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের ৮০ ভাগ জুড়েই এল ভয়ানক এক ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির গলায় দুরারোগ্য এক ক্ষত। যার জন্য একান্ত ভাবেই দায়ী তামাক এবং স্রেফ তামাক!
কী ভাবছেন? এতেও কাজের কাজ কিছুই হবে না?
কিছু মানুষ থাকেনই যাঁদের ভয় দেখিয়ে হোক বা বুঝিয়ে, কিছুতেই পথে আনা যায় না। কিন্তু, দলের বাকিদের মধ্যে ছবিটা কিন্তু অন্য রকম। সমীক্ষা বলছে, সিগারেটের প্যাকেটের এই ভয়ানক ছবি ধূমপানের আকাঙ্ক্ষা অনেকটাই কমিয়ে এনেছে ধূমপায়ীদের মধ্যে। স্রেফ প্যাকেটের ছবির জন্যই না কি ২৯ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছেড়েছেন!
সম্প্রতি এমনই এক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্টের এক সংস্থা। ২,১৫০ জনের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে সংস্থাটি দেখেছে, সমীক্ষা শেষ হওয়ার মুখে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন ২৯ শতাংশ মানুষ!
সমীক্ষার সাফল্যের কারণ কিন্তু ওই ভয়ানক ছবি। সমীক্ষকরা রোজ এই ২,১৫০ জনকে যে প্যাকেটে সিগারেট দিতেন, তার উপরের হলোগ্রামটা ছিঁড়ে লাগিয়ে দিতেন ভয়ানক কোনও ছবি। ধূমপানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত। সেই ছবি দেখেই না কি বীতস্পৃহ হয়ে পড়েছেন ধূমপায়ীরা, দাবি সংস্থার!
ভারতে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সমীক্ষা হয়নি ঠিকই! কিন্তু, নয়া সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন ধূমপায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার এক সাংবাদিক যেমন জানিয়েছেন, ”এমনিতে প্যাকেটটা আলগোছে পড়ে থাকে বিছানায় বা টেবিলে! কিন্তু যেই সে দিকে চোখ যায়, বাবা রে বাবা…” কথাটা পুরোটা শেষও করেননি তিনি! স্পষ্ট মালুম হল তাঁর বিতৃষ্ণা।
এরই বিপরীতে জনৈক কর্পোরেট-কর্মচারীর সাফ বক্তব্য, ও সবে কিছু যায় আসে না! যাঁর খাওয়ার, তিনি ঠিকই খাবেন!
সে হিসেব বাদ দিলেও একটা ব্যাপার পরিষ্কার- কোনও একটা জায়গায় গিয়ে সিগারেটের প্যাকেটের এই ভয়ানক ছবি নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে মানুষকে!
সেটাই বা কম কী!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.