সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে কায়েম হয়েছে তালিবানের (Taliban) শাসন। দোহায় শান্তিচুক্তির নামে একপ্রকার ‘শর্তসাপেক্ষে’ জেহাদিদের কবুলের মসনদে বসায় মাস পাঁচেক আগেই সম্মতি দিয়েছিল ওয়াশিংটন। তারপর থেকে ঘরে ও বাইরে সমানে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। এহেন সময়ে কবুলে তালিবান নেতাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রধান বলে খবর।
‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সোমবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালিবানের অন্যতম শীর্ষনেতা আবদুল ঘানি বরাদরের সঙ্গে ‘অত্যন্ত জরুরি’ গোপন বৈঠকে বসেন সিআইএ (CIA) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিআইএ জানিয়েছে, এজেন্সির চিফ কোথায় যান কী করেন তা নিয়ে আলোচনা করা যায় না। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ফৌজ প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বরদর ও বার্নসের মধ্যে। এছাড়াও, গৃহযুদ্ধে জর্জর দেশটি থেকে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষিত সরিয়ে নেওয়া ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও উঠে এসেছে ওই বৈঠকে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। রাজধানী কাবুল দখল করার পর প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে বর্বর জেহাদিদের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পরিস্থিতিতে কাবুল বিমানবন্দর এখনও আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। আর সেখান দিয়েই মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে সেনা (Afghanistan) রাখতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এতেই বেজায় খাপ্পা জেহাদিরা। ডেডলাইন না মানলে ফল ভাল হবে না, বলে আমেরিকাকে শাসিয়েছে তালিবান।
২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদের দৌত্যে আলোচনার টেবিলে আমেরিকার বেশ কিছু শর্ত মেনে নিয়েছে তালিবরা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আল কায়দাকে আফগানভূমে জায়গা না দেওয়া। বিনিময়ে পাহাড়ি দেশ থেকে সেনা সরিয়ে তালিবানকে নিয়ে সরকার গঠনের উদ্যোগ শুরু করে ওয়াশিংটন। কিন্তু চুক্তি করলেও কাবুল দখল করে সুর বদলেছে তালিবান। এর ফলেই এবার বিপাকে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.