সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের গির্জায় সমকামী দম্পতিরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে আসতে পারবেন। কিন্তু কোনওভাবেই সমলিঙ্গের বিয়ের অনুমোদন মিলবে না গির্জায়। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ গির্জা। গত পাঁচ বছর ধরে লাগাতার বিতর্ক ও আলোচনার পরে এমনটাই জানানো হল গির্জার তরফে। নিঃসন্দেহে এই ঘোষণায় সমকামীরা ধাক্কা খেলেন। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, এই প্রথম গির্জা জানিয়েছে, সমকামী দম্পতিরা আশীর্বাদ নিতে গির্জায় আসতে পারেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও সমকামী বিয়েতে আপত্তির পথে থেকে গির্জা সেই পুরনো বক্তব্যেই অটল রইল যে, বিয়ে কেবল নারী ও পুরুষের মধ্যেই হতে পারে।
বিদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, সমকামী বিয়ে ও যৌনতার অন্যান্য বিষয়-সহ নানা বিষয়ে গির্জার সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবারই বিশপরা বৈঠক করেন। এই সুপারিশগুলি আগামী মাসে গির্জার আইন প্রণয়ন সংস্থা জেনারেল সিনাডে পেশ করা হবে। আর তখনই চার্চ জানিয়েছে, সমকামী দম্পতিরা গির্জায় প্রার্থনা-সহ অন্য বিষয়ে যোগ দিতে এলে তার অনুমতি গির্জায় দেবে। কিন্তু সেই সঙ্গেই কিন্তু গির্জা সেই শিক্ষার পরিবর্তনকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে যা পাদ্রীদের সমকামী দম্পতিদের বিয়ে দেওয়ার অনুমতি দেবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ব্রিটেনে সমকামী বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চার্চ এখনও পর্যন্ত একে স্বীকার করেনি। ক্যান্টরবেরির আর্কবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি জানিয়েছেন, নতুন প্রস্তাব কারও কারও কাছে গ্রহণীয় মনে হতে পারে। তবে বাকিদের কাছে তা যথেষ্ট নাও মনে হতে পারে। তাঁর মতে, এই অবস্থান সমকামিতার প্রশ্নে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্রকে প্রতিফলিত করে।
এখানে বলে রাখা দরকার, স্কটিশ এপিস্কোপাল চার্চ এবং স্কটল্যান্ডের প্রেসবিটারিয়ান চার্চ উভয়ই সমকামী বিবাহের অনুমতি দেয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে অক্সফোর্ডের বিশপ প্রকাশ্যে সমকামী বিয়ের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাবে একটি পরিবর্তনকে সমর্থন করেন। কিন্তু দেখা যায়, তাঁকে সমর্থনকারীরা সংখ্যালঘু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.