সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর একদিন। সারা পৃথিবী জুড়ে মানুষ অপেক্ষা করে রয়েছে ক্রিসমাসে মেতে উঠতে। বিশ্বের অন্য প্রান্তের মতো উৎসবের মুখোমুখি মধ্যপ্রাচ্য। সেখানে বসবাসকারী খ্রিস্টানরা বড়দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এক বড় অংশেরই প্রতীক্ষা দুরু দুরু বক্ষে। কেননা সর্বত্রই এমন এক অশান্তির আবহ যে, উৎসবের আলো যেন খানিক ম্লান। এর মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, ইজরায়েল, লেবানন অন্যতম। সিরিয়ায় ইতিমধ্যেই ক্রিসমাস ট্রি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
বেশ কিছুদিন হল সিরিয়ার দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। দামাস্কাসে ঢুকে ‘যুগের অবসান’ ঘোষণা করে দিয়েছে তারা। দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এই পরিস্থিতিতে ক্রিসমাসে কী হবে তা নিয়ে সংশয়ে সেখানে বসবাসকারী খ্রিস্টানরা। আসাদের আমলে কিন্তু তাঁরা নিজেদের ধর্মীয় অনুশীলনের অনুমতি পেতেন। এক্ষেত্রে বিদ্রোহীরাও কিন্তু আশ্বাস দিয়েছে, তাদের দখলে থাকা সিরিয়াতেও কোনওরকম সমস্যা হবে না বড়দিন পালনে। কিন্তু সেই আশ্বাসের মাঝেই খবর এল, সিরিয়ার হামা শহরে ক্রিসমাস গাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মুখোশধারী বন্দুকবাজরা সেই শহরের সুকালাবিয়ায় হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে যিশুর জন্মস্থান বেথলেহেমে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্রিসমাস পালিত হবে না। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। তারপর থেকে হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলি সেনার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে বেথলেহেম কার্যতই রুদ্ধদ্বার। কোনও ট্যুরিস্টের প্রবেশের অনুমতি নেই। ফলে অর্থনীতিও ধুঁকছে। সব মিলিয়ে ক্রিসমাসে মন ভালো নেই খোদ যিশুর জন্মস্থানের মানুষেরই। অন্যদিকে গাজার পরিস্থিতিও তথৈবচ। তবে সেখানে জেরুজালেমের ক্যাথলিক বিশপ যাবেন সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের নিয়ে।
এদিকে লেবাননে তুলনায় কিছুটা স্বস্তির হাওয়া। বেইরুটের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা শহর সাজাচ্ছেন আলো দিয়ে। কেননা সম্প্রতি হেজবোল্লা ও ইজরায়েলের মধ্যে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি। ফলে নিশ্চিন্ত হয়ে উৎসবে মাতছেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে সমস্ত উড়ানেই বুক হয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.