সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৌলবাদীদের রোষ থেকে বাঁচতে অবশেষে পাকিস্তান ছাড়লেন আসিয়া বিবি। বুধবার স্বদেশ ছেড়ে গোপনে কানাডার উদ্দেশে পাড়ি দেন মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পাওয়া ওই খ্রিস্টান মহিলা। ২০১০ সালে ইসলাম অবমাননার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
[মহম্মদকে ‘অপমানে’ অভিযুক্ত আসিয়ার মুক্তিতে মৌলবাদীদের তাণ্ডব পাকিস্তানে]
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে দেশ ছেড়েছেন আসিয়া বিবি। গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আসিয়া বিবি ইতিমধ্যে কানাডায় পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হবে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ইসলাম অবমাননার দায়ে চার সন্তানের জননী আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে ওই আইনে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারপরই বিশ্বজুড়ে ওঠে তীব্র প্রতিবাদের ঝড়। অবশেষে চাপে পড়ে ২০১৮ সালে মৃত্যুদণ্ড থেকে তাঁকে রেহাই দেয় পাক সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এমনকি আসিয়া বিবিকে হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হয়৷
সংখ্যালঘুদের নিশানা করতে বরাবরই পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহ আইন ব্যবহার করে আসছে মৌলবাদীরা। বহুক্ষেত্রে হিন্দু বা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ আনে পড়শি মুসলিমরাই। এমনই এক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন আসিয়া বিবি। ২০০৯ সালের জুনের ঘটনা। শেখপুরা এলাকায় গাছ থেকে ফল পাড়তে গিয়ে অন্য মহিলাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় চার সন্তানের জননী আসিয়া বিবির। প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, ঝগড়াঝাঁটির সময়ে মহম্মদকে অপমান করেছেন আসিয়া। এই অভিযোগে ২০১০ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের নিম্ন আদালত। গত ৮ বছর ধরে তাঁকে কারাগারের অন্ধকারের ভিতর দিন কাটাতে হয়েছে। বারবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন আসিয়া। তাঁর দাবি, তিনি খ্রিস্টান বলে তাঁর হাতে জল খেতে অস্বীকার করেন প্রতিবেশীরা।
[‘বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকে খতম ১৭০ জন জঙ্গি’, বিস্ফোরক দাবি সাংবাদিকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.