সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের খিদে যে সর্বগ্রাসী হতে চলেছে তা বহুকাল আগেই বুঝতে পেরেছে আমেরিকা। সম্প্রতি এক মার্কিন সেনাকর্তা সতর্ক করেছেন যে তাইওয়ান (Taiwan) দখল করতে হামলা চালাতে পারে লালফৌজ। সেই সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে ফের দ্বীপরাষ্ট্রটির আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করল চিনের যুদ্ধবিমান।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স’ অর্থাৎ চিনা বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। ‘শানসি ওয়াই-৮’ নামের ওই বিমানটি ‘ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার’ বা শত্রুপক্ষের রাডার এবং যন্ত্র অকেজো করতে সক্ষম। ফলে তাইওয়ানের সামরিক ঘাঁটি ও সরঞ্জামই চিনের নিশানা ছিল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। এদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, চিনা বিমানের গতিবিধি রাডারে ধরা পড়তেই সমস্ত মিসাইল সিস্টেম সক্রিয় করে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশে পাড়ি দেয় তাইওয়ানের লড়াকু বিমান। রেডিও বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করা হয় চিনা যুদ্ধবিমানটিকে। অবশেষে রণে ভঙ্গ দিয়ে বিদায় নেয় লালফৌজের বিমানটি। এই ঘটনা ফের একবার দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা উসকে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছর চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে (Taiwan) মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। সেবার ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন। এই অস্ত্র চুক্তি যে চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে গত আগস্টের ১০ তারিখ চিনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তাইপে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরাল সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। সব মিলিয়ে চিন সামরিক পদক্ষেপ করলে তাইওয়ানকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.