সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই আগ্রাসন থামাচ্ছে না চিন (China)। ক্রমে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে দেশটি। তবে ভুটানের অংশ নিজের বলে দাবি করা ও ভারতীয় ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালানো, বেজিংয়ের পরিকল্পনার অংশমাত্র। এই পদক্ষেপগুলির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিক্রিয়া যাচাই করা বা সকলের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া। মার্কিন সেনেটে দাঁড়িয়ে এমনটাই তোপ দাগলেন সে দেশের বিদেশসচিব মাইক পম্পেও।
বৃতহস্পতিবার সেনেটে পম্পেও সাফ বলেন, “আগ্রাসন চালিয়ে চিন দেখে নিতে চাইছে ভুক্তভোগী দেশগুলি ও অন্যরা কী প্রতিক্রিয়া দেয়। এমনটাই ১৯৮৯ সাল থেকেই চলে আসছে। তবে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে দেশটি। গোটা বিশ্বে সমাজতন্ত্রের চিনা সংস্করণ ছড়িয়ে দিতে চাইছে বেজিং।” বেজিংকে তুলোধোনা করে তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতা বিস্তার ও গোটা বিশ্বকে নিজেদের নাগালের মধ্যে আনাই চিনের লক্ষ্য। এখন আবার ভুটানের এলাকাকেও নিজেরে এলাকা বলে দাবি করছে। ভারতেও অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। তারা জানতে চাইছে, আমর সবকিছু মুখ বন্ধ করে নেব, না প্রতিবাদ করব। এক বছর আগেও যতটা না নিশ্চিত ছিলাম, এ ব্যাপারে এখন তার চেয়ে ঢের বেশি আত্মবিশ্বাসী আমি। জানি ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত গোটা বিশ্ব। সমসত আসিয়ান দেশগুলি একমত যে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে চলা বিবাদের সমাধান আন্তর্জাতিক আইন মেনেই হওয়া উচিত। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির থেকে উৎপন্ন হওয়া বিপদ কাটিয়ে উঠব আমরা।”
উল্লেখ্য, মে মাসের গোড়া থেকেই লাদাখ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত চলছে। এহেন সময়ে ভুটানের (Bhutan) সাকতেং অভয়ারণ্য (Sakteng wildlife sanctuary) নিজেদের বলে দাবি করছে চিন। এভাবেই ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে ভয় দেখিয়ে ভারতকে একঘরে করার মতলব করেছে বেজিং। এদিকে, জলসীমা নিয়ে জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই-সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে চিনের। আমেরিকা ছাড়াও চিনের গতিবিধি সম্পর্কে প্রবল সন্দিহান ইউরোপের দেশগুলিতেও। বর্তমানে রাশিয়ার থেকেও চিন বড় বিপদ বলেই মনে করছেন ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। ফলে ন্যাটো সামরিক জোটের (NATO) সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গও চিনের উপর বিশেষ নজর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে অতিশয় আগ্রাসী মনোভাবের জব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে হয়ে পড়েছে চিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.