সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ভারত-চিন সীমান্তে সংঘাত নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন পত্রিকা নিউজউইককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন চিনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান।
পিটিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন উ কিয়ান। সেখানে উঠে আসে মোদির সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গও। যা নিয়ে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। দুদেশই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে কথাবার্তার মাধ্যমে কার্যকর যোগাযোগ বজায় রেখেছে। গঠনমূলক আলোচনাও চলছে। যার ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে।” দুদেশের মধ্যে সংঘাত মেটানো নিয়ে তিনি বলেন, “উভয়পক্ষই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে সম্মত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, নিউজইউক দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছিলেন, চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখা ভারতের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “আমার বিশ্বাস, সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে যে বিবাদ চলছে সেই নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা দরকার। তাহলেই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে যা সমস্যা রয়েছে সেগুলো দূর হতে পারে। ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা গোটা বিশ্বের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) মুখোমুখি হয় ভারত ও চিনের ফৌজ। দুপক্ষের জওয়ানরাই লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করেন। চিনা আগ্রাসন রুখতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালে পর সেবারই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার পর থেকেই দুদেশের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ২১বার আলোচনায় বসে দুই দেশের সেনাবাহিনী। কিন্তু কোনওবারই ফলপ্রসু কোনও সমাধান মেলেনি। তবে সম্প্রতি কমিউনিস্ট দেশটি দাবি করেছে, সীমান্ত সংঘাতের কোনও প্রভাব পড়বে না ভারত-চিন সম্পর্কে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.