সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। আগ্রাসী সুর পালটে এবার মোদি-জিনপিং সম্পর্কের ‘রসায়ন’ নিয়ে উচ্ছ্বসিত সরকার নিয়ন্ত্রিত চিনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। এক প্রতিবেদনে সংবাদমধ্যমটি সাফ লিখেছে, ‘ভারত ও চিনের গঠনমূলক আলোচনার মধ্যে কোনও ধরনের বাধা কখনওই কাম্য নয়।’
[আরও পড়ুন: শিল্পে অশনি সংকেত, সাত বছরে সর্বনিম্ন উৎপাদন হার]
বলে রাখা ভাল, কড়া হাতেই সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রিত করে কমিউনিস্ট চিন। এছাড়া, গ্লোবাল টাইমস সরকারেরই মুখপাত্র। ফলে বেজিংয়ের নীতি প্রতিফলিত হয় সেটির প্রতিবেদনে। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কয়েক দশকের টানাপোড়েন পিছনে ফেলে এবার নয়াদিল্লির সঙ্গে বরফ গলাতে তৎপর হয়েছে বেজিং। ফলে মামাল্লাপুরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘ইনফর্মাল সামিট’ নয়া দিগন্তের সূচনা করতে চলেছে। এদিকে, পরোক্ষে আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ‘গ্লোবাল টাইমস’। প্রতিবেদনে সংবাদমধ্যমটির দাবি, ভারত ও চিনের মধ্যে সুসম্পর্ক চায় না পাশ্চাত্যের দেশগুলি। তারাই দু’দেশের মধ্যে দুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। চিনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়ওপিংকে উদ্ধৃত করে গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও চিনের উন্নতিতেই এশিয়া মহাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, চিনা ড্রাগনের সঙ্গে ভারতের হাতির যাতে বোঝাপড়ায় কোনও ফাটল না ধরে, চিনের রেড পান্ডার সঙ্গে ভারতের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের যাতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক মজবুত থাকে সেজন্য চিনেরই উদ্যোগে শুরু হয়েছিল অভিনব কূটনীতি। সেই কূটনীতির পোশাকি নাম ছিল, ‘ইনফরমাল সামিট’। বছর দেড়েক আগে চিনের ইউহান শহরের নয়নাভিরাম রিসর্টে আদতে যা ছিল দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ঘরোয়া পরিবেশে বৈঠকী আড্ডা। অর্থাৎ এর মধ্যে ছিল না করমর্দন, ফোটো সেশন, কেজো কথা, খটমট বিবৃতি এবং যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মতো চিরপরিচিত দৃশ্যগুলো। কূটনৈতিক প্রথা ভাঙার সেই ‘উপভোগ্য প্রথা’ শুক্রবারও বজায় রাখল নরেন্দ্র মোদির ভারতও। ভারত-চিন সম্পর্ক মজবুত করার যে চিনা উদ্যোগ শুরু হয়েছিল চিনের ইউহানে, সেই রেশ জিইয়ে থাকল তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরমেও।
[আরও পড়ুন: ‘বামেদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলন করুন’, প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের নির্দেশ সোনিয়ার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.