সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘করোনা আক্রান্তদের চূড়ান্ত হেনস্তা করা হচ্ছে ইউহানে।’ একাধিক এ ধরণের কবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন প্রাক্তন আইনজীবী তথা সিটিজেন সাংবাদিক ঝ্যাঙ ঝান (Zhang Zhan)। তারই ‘শাস্তি’ স্বরূপ তাঁকে জেলে পুড়ল জিনপিং সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে হইচই পড়ে গিয়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে চিনের ইউহান (Wuhan) শহরে করোনার সংক্রমণ ছড়ায়। বিভিন্ন দেশ অভিযোগ করেছে, চিনের এই শহর থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা (Corona Virus) মহামারী ছড়িয়েছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। ইউহানেরই কোনও গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে ভাইরাস। যদিও সেসমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে চিন (China) সরকার। উলটে যাঁরা এই খবর সামনে এনেছে, তাদেরই জেলে পুড়েছেন তাঁরা। কোনও কোনও সাংবাদিকের হদিশই মেলেনি। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়েছে সিটিজেন সাংবাদিক ঝ্যাঙ ঝানের।
চিনের মানবাধিকার সংগঠন চাইনি্জ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারের তরফে জানানো হয়েছে, ৩৭ বছরের আইনজীবী ঝ্যাঙ ঝান একাধিক খবর সামনে এনেছিলেন। কোভিড রোগীদের পরিবারকে কীভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে, যাঁরা সেই সংক্রান্ত খবর সামনে আনছেন তাঁদের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হচ্ছে, কীভাবে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে- এ সবই ইউটিউব অ্যাকাউন্ট, উইচ্যাট কিংবা টুইটারের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছিলেন ঝ্যাঙ ঝান। এরপরই ১৪ মে থেকে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। পরে ১৯ জুন তাকে আটক করার নির্দেশ দেয় পুডং-এর প্রসিকিউটার। আপাতত সাংহাইয়ের ডিটেনশান সেন্টারে তিনি রয়েছেন বলে খবর। ২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি অনশন শুরু করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কার্যত জোর করে তাঁকে খাওয়ার চেষ্টা করেন। সূত্রের খবর, তাঁর পরিবারকেও আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে হংকংকে সমর্থন করে জেলে গিয়েছিলেন তিনি।
ঝ্যাঙ ঝান একা নন। এর আগে সাংবাদিক লি জেহুয়া, চেন কুইশি ও ফ্যাং বিনেরও একই দশা হয়েছিল। এপ্রিল মাসে শেষবার জেহুয়াকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছিল বলে খবর মিলেছিল। কুইশিকে সরকারি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এদিকে বিনের কোনও খোঁজই মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.