সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর (Uighur) মুসলিমদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। তাঁদের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করার পাশাপাশি অমানুষিক অত্যাচারও চালাচ্ছে। জোর করে গর্ভপাত কিংবা কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অবিরত। আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার নামে বন্দিশিবির খুলে লক্ষ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখেছে। আর এর ফলে অনাথ অবস্থায় শিনজিয়াং প্রদেশের বিভিন্ন রাস্তায় দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার শিশু।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০১৮ সালেই শিনজিয়াং (Xinjiang) -এর উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত ইয়ারকান্ড কাউন্টি এলাকায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি উইঘুর শিশুর হয় বাবা নয় মাকে, কোনও ক্ষেত্রে উভয়কেই আটকে রাখা হয়েছে বন্দিশিবিরে। এর ফলে প্রচণ্ড দুর্গতি পোয়াতে হচ্ছে একরত্তি বাচ্চাগুলোকে। ২০১৯ সালে স্থানীয় প্রশাসনের একটি নথি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে ভুলবশত প্রকাশিত হয়ে যায়। তা থেকে জানা গিয়েছিল যে ওই এলাকার উইঘুর শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যে হয় বাবা নয় মাকে বন্দিশিবির রাখা হয়েছে। কিন্তু, অন্য সম্প্রদায়ের কোনও চাইনিজ শিশুর অভিভাবককে রাখা হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইঘুর সংস্কৃতিকে শিনজিয়াং থেকে নির্মূল করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে চিন সরকার। সেই কারণে এই সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন উপায়ে অত্যাচার চালাচ্ছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। প্রথমে বাবা-মাকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে উইঘুর শিশুদের অনাথ বানাচ্ছে। তারপর অভুক্ত অবস্থায় রাস্তায় ঘুরে বেরানো সেইসব শিশুকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা বোডিং স্কুলে নিয়ে গিয়ে পুরে দিচ্ছে। সেখানে উইঘুর ভাষার বদলে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে মান্ডারিন ভাষায়। যাতে শিশু মনে থাকা উইঘুর ভাষা বা সংস্কৃতির ছাপ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.