সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের করোনা (Covid-19) সংক্রমণ বাড়ছে চিনে (China)। মারণ ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমুখী। যে শহর করোনার উৎস, সেখানেও এবার নতুন করে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আর তাই ইউহানের (Wuhan) সমস্ত বাসিন্দাদের আবারও করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইউহানের স্বাস্থ্য প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা AFP।
এক বছর পরে ফের চিনে দেখা দিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। সোমবার ইউহান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সাত জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দীর্ঘ এক বছর পরে এই ঘটনা ঘটল। তার পরেই সাবধান ইউহান প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রত্যেককে বাড়ির ভিতরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহণ। গণহারে নমুনা পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার চিনে ৬১ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিমানবন্দরের কর্মীদের মধ্যেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ইউহানের পাশাপাশি রাজধানী বেজিং-সহ অন্যান্য প্রদেশেও শুরু হয়েছে নমুনা পরীক্ষা। ধীরে ধীরে টেস্টিংয়ের পরিমাণও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে কোভিড সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধও।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষদিকে এই ইউহানেই প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। তারপর তা চিনের সীমান্ত টপকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সবার আগে চিনেই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল সংক্রমণ। কিন্তু এক বছর পরে ফের সেখানেই নতুন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেল।
এদিকে, করোনার উৎপত্তি নিয়ে ফের একবার আমেরিকার (America) নিশানায় চিন (China)। মার্কিন রিপাবলিকান পার্টি সোমবার এক রিপোর্ট পেশ করে। সেখানেই দাবি করা হয়েছে, চিনের ইউহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়ে মারণ করোনা ভাইরাস। ভুল বুঝতে পেরে বেজিং প্রশাসন দ্রুত নিজেদের কাজ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ইউহানে ছড়িয়ে পড়ে মারণ ভাইরাসটি। মার্কিন সেনেটের সদস্য রিপাবলিকান মাইকেল ম্যাককলের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ”২০১৯ সালের আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসেই ইউহানের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিপদ বুঝে চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি এবং বিজ্ঞানীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকী মধ্যরাতেই ভাইরাসের সমস্ত তথ্য নষ্ট করা হয়। এজন্য অতিরিক্ত ১ মিলিয়ন ডলারও খরচ করে বেজিং। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। ইউহান শহরে ছড়িয়ে পড়েছিল মারণ ভাইরাস।” যদিও চিন বরাবরের মতোই এই রিপোর্টকে অস্বীকার করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.