Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতের প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তানের পাশে নেই চিনও!

কী বার্তা ড্রাগনের?

China's reaction on IAF strike in Pakistan
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 26, 2019 4:41 pm
  • Updated:February 26, 2019 5:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের পর যেন সবদিক থেকেই ধরাশায়ী পাকিস্তান। দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য ইমরান খানের দেশ। এমনকী, দুঃসময়ের বন্ধু চিনও এবার খুব একটা সাহায্যের আশ্বাস দিল না পাকিস্তানকে। এই হামলার পর পাকিস্তান হয়তো আশা করেছিল চিনের তরফে ভারতকে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতি সহমর্মিতা দেখাবে চিন । সেই উদ্দেশ্য হামলার পর চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও খুব একটা সুবিধে হয়নি। সরাসরি ভারতকে কোনও কটু কথা শোনায়নি জিংপিং প্রশাসন।

[‘দেশের ভার নিরাপদ হাতেই রয়েছে’, প্রত্যাঘাতের পর দেশবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]

এদিন, কূটনৈতিকভাবে ‘সেফ করিডর’-এ থাকার জন্য উদ্দেশ্য ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই সংযম রাখার বার্তা দিয়েছে চিন। ড্রাগনের দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “আমাদের আশা ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশই এই পরিস্থিতিতে সংযম বজায় রাখবে। এবং এমন পদক্ষেপ করবে যাতে এই পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়।” কূটনীতিকরা মনে করছেন চিনের এই বার্তা পাকিস্তানকে হতাশ করবে। কারণ, এই বার্তায় সরাসরি পাকিস্তানের পাশে থাকার কোনও বার্তা নেই। তাছাড়া এর আগে পুলওয়ামার ঘটনার পরও ভারতীয় জনওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিল ড্রাগন। কিন্তু এবার পাকিস্তানের প্রতি সেই সৌজন্য দেখাননি জিংপিং। এ বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে, এদিন বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের পর অন্যান্য দেশের মতো চিনের বিদেশমন্ত্রককেও এই হামালা সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

Advertisement

[ফিদায়েঁ হামলার আশঙ্কা থেকেই ‘এয়ার স্ট্রাইক’, ঘোষণা ভারতের]

উল্লেখ্য, পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই বদলা নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল ভারতীয় সেনা। সেই বদলা সম্পূর্ণ হল মঙ্গলবার ভোরবেলা। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পাক ভুখণ্ডে ঢুকে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই হামলায় গুড়িয়ে গিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের তিনটি কন্ট্রোল রুম, গুড়িয়ে গিয়েছে বালাকোট, মুজফফারাদ,চাকোতির জঙ্গি লঞ্চপ্যাড। মোট ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদের মধ্যে রয়েছেন, লস্করের শীর্ষ নেতারাও। ভারতীয় সেনার এহেন হামলার পরও পাকিস্তান পাশে পেল না বন্ধু চিনকে। বরং ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখার পন্থা ড্রাগনের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement