Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন সীমান্ত

সিকিমের দিকে বম্বার মোতায়েন করে চোখ রাঙাচ্ছে ড্রাগন

চিন সীমান্তে চোরা উত্তেজনা৷

China's People's Liberation Army depoloyed H-6 bomber in Sikkim border
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 27, 2019 8:05 pm
  • Updated:April 28, 2019 9:05 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম সমস্যা অতিক্রান্ত৷ কিন্তু তারপরেও ভারত সীমান্তের খুব কাছে সামরিক প্রস্তুতি বাড়িয়ে চলেছে চিন৷ সিকিম থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বত অঞ্চলের মাটিতে এবার শক্তিশালী এইচ-৬ বম্বার মোতায়েন করল বেজিং৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে ভারতকে তাক করেই এই অস্ত্রটি মোতায়েন করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর৷

[আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারেই ক্যানসার থেকে রেহাই, গোমূত্রের তত্ত্ব উড়িয়ে দাবি সাধ্বীর চিকিৎসকের]

জানা গিয়েছে, তিব্বতের ওই অঞ্চলে যে বিমানবন্দরটি ছিল, সেটি এতদিন সামরিক ও অসামরিক দু’ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হত৷ তবে সম্প্রতি সেই বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি৷ এবং বিমানবন্দরটিকে সম্পূর্ণভাবে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে পরিণত করে ফেলেছে সেনাবাহিনী৷ এবং বায়ুসেনা ঘাঁটির নিরাপত্তার খাতিরে সেখানে ১৫৫ এমএম হাউৎজারের মতো শক্তিশালী অস্ত্রও মজুত করেছে পিপল’স লিবারেশন আর্মির বায়ুসেনা বিভাগ৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি এই এইচ-৬ বম্বারটি কৌশলগত লড়াইয়ের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে যে কোনও দেশ৷ এর সাম্প্রতিকতম সংস্করণ এইচ-৬কে, যা দূরপাল্লার বিস্ফোরক হিসেবে চিন ব্যবহার করতে চাইছে৷ ৫০ কিলোমিটার বা তারও বেশি দূরত্বে লেজার গাইডেড অস্ত্রকে প্রতিহত করার ক্ষমতা রয়েছে এইচ-৬কে’র৷ আর এই নিয়েই আশঙ্কা বাড়ছে ভারতের৷ চিন সীমান্তে উসকে উঠছে উত্তেজনা৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার পর এবার জঙ্গিদের টার্গেটে ভারতের একাধিক রাজ্য]

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, ‘আমরা সীমান্তের সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত৷ ওয়েস্টার্ন কমান্ডের মাধ্যমে এইচ-৬ সম্পর্কে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি৷ কীভাবে আকাশপথে তা কাজ করে, বুঝতে হবে৷ এইচ-৬ নিয়ে ভারতের সঙ্গে ফের চিনের দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে৷’ গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারত-চিন সীমান্তের এই এলাকায় স্থায়ীভাবে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে বেজিং৷ কখনও আকাশপথে অভিযান হলে, এখান থেকে প্রতিহত করা সুবিধাজনক৷ সেকথা মাথায় রেখেই চিন সেনার এই পদক্ষেপ বলে অনুমান গোয়েন্দাদের৷
এছাড়া নজরদারিতে আরও জানা গিয়েছে, অরুণাচল থেকে চিন সীমান্তের দিকে ৯০০ কিলোমিটার ভিতরে চিনের ইউক্সিতে একটি মিসাইল ইউনিট তৈরি করছে পিএলএ৷ যা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে হচ্ছে৷ এই মুহূর্তে চিনের সেনা দূরপাল্লায় আঘাত হানার জন্য নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে৷ সিকিম সীমান্তে এইচ-৬ মোতায়েন সম্পর্কে জানার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে৷ পিপলস লিবারেশন আর্মির যে রকেট বিশেষজ্ঞদের দল আছে, তার উপরেও নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে৷ ডোকলাম নিয়ে বছর দুই আগে অরুণাচল সীমান্তে যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তার জেরে দেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ভারতের সেনাবাহিনীর তরফে৷ এবার এইচ-৬’এর আনাগোনা দেখে ফের আশঙ্কা বাড়ছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement