সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আগ্রাসী চিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। এবার নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর উপগ্রহ চিত্র। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারত মহাসাগরে ‘অতি-তৎপর’ হয়ে উঠেছে চিনা নৌবাহিনী।
বৃহস্পতিবার ম্যাক্সার প্রকাশিত ওই উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে, ‘হর্ন অফ আফ্রিকা’য় অবস্থিত জিবৌতির নৌঘাঁটি এখন সম্পূর্ণভাবে তৈরি। ফলে ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) মোতায়েন চিনা নৌবহরকে কৌশলগত সমর্থন দিতে প্রস্তুত নৌঘাঁটিটি। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলগত অবস্থানের জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ জিবৌতি। এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী জলপথের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত এই নৌঘাঁটি থেকে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে উপস্থিতি জানান দেওয়ার কাজ করতে পারবে চিনা নৌবাহিনী। ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি আরব সাগরের জলসীমায় ঢুকে চাপে ফেলতে পারবে নয়াদিল্লিকে।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ভারতকে চাপে ফেলতেই ভারত মহাসাগরে এই তৎপরতা চিনের। আর জিবৌতির কৌশলগত অবস্থান ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য উদ্বেগজনক। ভারত-আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষকে চাপে ফেলতেই চিনের এই পদক্ষেপ। সবমিলিয়ে, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সুয়েজ খালমুখী জলপথে অবরোধ তৈরি করে নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়াতে পারে চিনা (China) ফৌজ।
উল্লেখ্য, আগস্টের ১৬ তারিখ শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে নোঙর ফেলেছে চিনা জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এটি গবেষণা ও সমীক্ষার কাজে ব্যবহার হয় বলে বেজিং দাবি করলেও, এর মাধ্যমে মূলত নজরদারির কাজ চালানো হয় বলে মনে করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মহল। আশঙ্কা, এই জাহাজে মজুত অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী সেন্সর ও রাডারের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি চালাবে লালফৌজ। ভারতীয় ফৌজের ইউনিট ফর্মেশন, মিসাইল সাইট, যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের সুলুক সন্ধান পেতেই এই জাহাজ পাঠিয়েছে চিন। তাই কোনওমতেই এই জাহাজটিকে শ্রীলঙ্কা জায়গা দিক তা চাইছিল না নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.