সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০-র মধ্যে চিনা সেনাকে ঢেলে সাজানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তা যে কোনও ফাঁকা বুলি ছিল না, সেটা প্রমাণ করে দিল চিনা সেনার নয়া পদক্ষেপ। এমন এক মিসাইল তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) যা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে, দিনের আলোয় বা রাতের অন্ধকারে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। একসঙ্গে অন্তত ১০টি পরমাণু বোমা বয়ে নিয়ে গিয়ে আছড়ে পড়তে পারবে এই মিসাইল।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একধরনের নয়া ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল। নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সংজ্ঞাই বদলে দিতে পারবে এই মারণ ক্ষেপণাস্ত্র। স্বল্প, মাঝারি বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের কথা এতদিন শোনা ও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই নয়া চিনা মিসাইলের পাল্লার কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। সহজ করে বললে যত দূরেই থাকুক না কেন, টার্গেটকে ধুলোয় পরিণত করার আগে থামবে না এই মিসাইল। মিসাইলটির পোশাকি নাম ডংফেং-৪১। এটি একটি নেক্সট জেনারেশন মাল্টি-নিউক্লিয়ার ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই খবর জানিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নভেম্বরের শুরুতেই অত্যন্ত গোপন কোনও স্থানে এই মিসাইলের চূড়ান্ত পরীক্ষা সেরেছে বেজিং।
সম্ভবত আগামী বছর চিনা সেনাবাহিনীতে এই মিসাইল অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই মিসাইলের গতিবেগও বেশ বেশি। শব্দের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ দ্রুতগতিতে ছুটবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ, প্রতি ঘন্টায় ১২৩৪৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে ডংফেং-৪১। শত্রুপক্ষের যে কোনও অ্যান্টি-মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমকে তছনছ করে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র, আশঙ্কা আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। এই নিয়ে অষ্টমবার মিসাইলটির সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে বেজিং। ২০১২-তে সর্বপ্রথম এর কথা জানা যায়। জানতে পারে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তার আগে অবশ্য এই মারণাস্ত্রের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করতে চায়নি বেজিং। ২০১৮-র শুরুতে PLA-তে চূড়ান্ত অন্তর্ভুক্তির আগে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিনা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। নয়া মিসাইলটি চিনা সেনার হাতে চলে এলে বিশ্বের কোনও শক্তি চোখ রাঙাতে পারবে না বলে আশাবাদী বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.