সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে চরমে চিন-আমেরিকা দ্বন্দ্ব৷ বেজিংয়ের কড়া পাহারা থাকা সত্ত্বেও, বিতর্কিত জলরাশিতে লাগাতার টহল দিচ্ছে মার্কিন নৌবহর। সংঘাতের বাড়ছে তাইওয়ান নিয়েও। এহেন পরিস্থিতিতে মহাকাশে চক্কর দিল চিনা আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে আমেরিকার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের কার্যকারিতা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে মহাকাশে আণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালায় চিন (China)। গোটা বিশ্বের চক্কর কেটে লক্ষ্যবস্তু থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে চিনা ক্ষেপণাস্ত্রটি। এদিকে, লালফৌজের এহেন ভয়ংকর হাতিয়ারের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করেছে পেন্টাগন। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলির সুরক্ষার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।তবে এই মিসাইল পরীক্ষার কথা অস্বীকার করেছে বেজিং।তাদের দাবি, কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়নি। নিয়মমাফিক একটি মহাকাশযানের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এনিয়ে জল্পনা করার কিছু নেই।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাগুলি ব্যালিস্টিক মিসাইলের ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও মহাকাশ থেকে আছড়ে পড়া হাইপারনিক মিসাইলের গতিরোধ করতে সেই অর্থে সক্ষম নয়। কারণ, শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন চিনা হাইপারনিক মিসাইল। এবং এর গতিপথ ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়ে ভিন্ন।
বলে রাখা ভাল, লক্ষ্যে আঘাত হানতে ব্যর্থ হলেও প্রযুক্তির দিক থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার ফলে আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে চিন বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে, ভবিষ্যেতে চিনা গবেষকেরা ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যভেদের ক্ষমতাকে আরও নিখুঁত করে তুলতে পারবেন। এই ধরনের অতি দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার মতো প্রযুক্তি এখনও পেন্টাগনের নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.