সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কার কী হাল হয়েছিল তা দেখেছিল বিশ্ব। করুণ অবস্থা পাকিস্তানেরও। কিন্তু এরই উলটো ছবি চিনে (China)। সেদেশে সমস্যা হয়ে দেখা গিয়েছে মুদ্রাহ্রাস! অর্থাৎ টাকার মূল্য প্রয়োজনের চেয়ে বেড়েছে। যার ফলে কমে যাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম!
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চিন। এহেন পরিস্থিতিতে তাই আশঙ্কার ‘সিঁদুরে মেঘ’ বিশ্ব অর্থনীতিতেও। কেননা বেজিংয়ের এই সংকটের ছায়ার কবলে পড়তে পারে অন্যান্য দেশগুলিও। ঠিক কী এই সংকট? আপাত ভাবে মনে হতেই পারে, জিনিসপত্রের দাম কমলে সাধারণ নাগরিকদের নিশ্চিত ভাবেই সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু বিষয়টা আসলে অন্য।
কেননা মুদ্রাস্ফীতির ফলে খুচরো পণ্যের দাম কমেছে। চিনা নাগরিকদের মধ্যে কমছে কেনার প্রবণতা। আসলে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি হয়েছে উৎপাদন। মানুষও সঞ্চয়ের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। এমনই সংকটের কবলে পড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা জিনপিং প্রশাসনের।
এমনিতে করোনার প্রকোপে চিনের অর্থনীতি বিরাট বিপদের মুখে পড়েছিল। কিন্তু গত ডিসেম্বরেই ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন জিনপিং। সেই সময় চিনা বিশেষজ্ঞরা ‘কেশর ফুলিয়ে’ বলতে শুরু করেন এবার ফের গর্জন করে উঠবে সেদেশের অর্থনীতি। এবং তার আঁচ টের পাবে বিশ্ব অর্থনীতিও। কিন্তু ঘটল তার ঠিক বিপরীত।
বিশেষজ্ঞরা মেনে নিচ্ছেন, চিনের অর্থনৈতিক পদস্খলনের প্রভাব ভালমতোই অনুভূত হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন কথায় ফুঁসে উঠে চিনের প্রশাসন তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশের অর্থনীতি নিয়ে কোনও রকম ‘নেগেটিভ’ কথা বলা যাবে না। কিন্তু যতই তারা বারণ করুক, পরিসংখ্যান সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সরকারি হিসেবই বলছে, জুলাইয়ে রপ্তানি কমেছে ১৪ শতাংশেরও বেশি। কমেছে আমদানিও। ক্রমেই ‘কচ্ছপের গতি’প্রাপ্ত হয়েছে চিনা অর্থনীতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.